নিজস্ব প্রতিবেদক , ঈদগাঁও:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও -রামু পাহাড়ি জনপদে ডাকাতি, অপহরণ,হত্যা, নারী নির্যাতন, মাদক সেবন, ছিনতাই, মাদক সহ নানান অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে মুজিবুর রহমান (৩৯) নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিআইজি চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার কক্সবাজার, অধিনায়ক র্যাব ১৫, ওসি রামু থানা ওসি বরাবর পাঠানো অভিযোগ পত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে ।অভিযোগে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে গণস্বাক্ষর করেছে রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, সংরক্ষিত নারী সদস্যা, ওয়ার্ড মেম্বারসহ সমাজ সেবক, গণ্যমান্য ১৬ জন ব্যক্তি। জানা যায়,রশিদ নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বড় ধলির ছড়া এলাকার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে সারা দেশে মাদক পাচার, পাহাড়ে অপহরণ, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যাসহ নানান অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজিবুর রহমানের সিন্ডিকেট সদস্যদের নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে এলাকা ছেড়েছে অনেক ভুক্তভোগী।
স্থানীয়রা জানান, মুজিবের অপরাধ কর্মকান্ডের তথ্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানালে উল্টো তাদের পরিচয় সন্ত্রাসী মুজিবুর রহমানকে জানিয়ে দেয় পুলিশ । ফলে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীতায় ভুগছে অনেকেই। মাদক কারবারি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজিবুর রহমান দেশের বিভিন্ন থানায় ইয়াবাসহ আটক হয়ে কারাভোগ করে জামিনে এসে পূনরায় মাদক ব্যবসা ও অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সম্প্রতি তার বাড়ির সামনে সিএনজি ডাকাতির ঘটনায় সন্ত্রাসী মুজিবুর রহমানের সংশ্লিষ্টটা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় তিনজন আটক হলেও সে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় থাকা মামলা গুলো হলো বাঁশখালী থানার মামলা নং ০৫(০৯) মাদক,রামু থানার মামলা নং ৪০ ২৫/৫/১৮ (মাদক), ১২(২)/১৭ (ডাকাতি), ১৩(২)/১৭ (অস্ত্র) মামলা নং ২৬ তাং ১৯/০৯/১২ (মারামারি), ১৩ তাং ১৮/১০/০৪ (নারী নির্যাতন), ৯/১৭৬/২০১১ (মারামারি) , ২৩ তাং ১৭/০১/১২ (হত্যা চেষ্টা) , মামলা নং ১২ -তাং ১১/০৩/১৪ (নারী) রামু থানার মামলা নং ১৬-তাং ৩০/০৬/২০০৮, জিআর -১৩০/১৯, এমআর নং ২০৩/১৭, জিআর ১২২/ এফআইআর নং ১১-১৪/০৫/০৮, সর্বশেষ তিনটি মাদকের মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। সেগুলো যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ থানায়। তাছাড়া অন্যন্যা থানায় আরো ৪/৫ টি মামলা চলমান রয়েছে।
রশিদ নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম টিটিএনকে জানান,মুজিবুর রহমান একজন খারাপ লোক, তার যন্ত্রনায় ইউনিয়নের মানুষজন অতিষ্ঠ, ‘তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে রামু থানার ওসি তদন্ত অরূপ কুমার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগে জানা ছিল না। এতো মামলা নিয়ে এলাকায় কোনো ত্রাসসৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।