আবুল কাসেম( কুতুবদিয়া):
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ প্রতীক্ষার ৪৪ বছর পর এই প্রথম চালু হলো অপারেশন থিয়েটার। কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
রবিবার বিকেলে এক প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে খুশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীর স্বজনরা। এ চিকিৎসা সেবা চালু হওয়ায় আনন্দিত উপজেলার মানুষজন। আনন্দে ভাসছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত গর্ভবতী মায়েদের আর শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের আজম কলোনি গ্রামের মোরশেদ আলমের স্ত্রী তুহিবুল জান্নাতের সিজারের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম চালু করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম।
তুহিবুল জান্নাতের স্বামী মোরশেদ আলম জানান, বিনামূল্যে আমার স্ত্রীকে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার করা হয়েছে। আমি পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছি। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অপারেশন থিয়েটারে দায়িত্বে ছিলেন কনসাল্ট্যান্ট(গাইনি) চিকিৎসক ডা.কেয়া চৌধুরী, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল হাসান(এনেস্থিসিয়া),ডা. খায়রুল আনোয়ার,ডা. নাজমুল হুদা, ডা. শামীম আল মামুন।
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে অভিজ্ঞ গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘন্টা অপারেশন থিয়েটার চালু থাকবে। অপারেশন রোগীদের যাবতীয় ঔষুধ সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, কুতুবদিয়া হাসপাতাল সৃষ্টিলগ্ন থেকে কুতুবদিয়া বাসী জন্য খুশির দিন, এই দ্বীপ অঞ্চলে অপারেশনের মত কাজ শুরুতে সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পারায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।