নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামুর প্রজ্ঞামিত্র বনবিহার মাঠে মৃয়মান বিকেল, শুক্রবারের আকাশে তখন ভর করছে বিয়োগের সুর,শোকের উৎসবে সব পথ যেনো মিশে গেছে মানুষের ঢলে। না থেকেও বিরাজমান যে মানবজন্ম, সে জিবন তো উৎকৃষ্ট। ৪৫ বছরের ভিক্ষু জিবন শেষে প্রয়াত সারমিত্র মহাথেরোর শবদেহে শবদোলনার দোলাচলে শেষ শ্রদ্ধার অন্তিম প্রনতি পুন্যার্থীদের। তখন অপর প্রান্তে আলং নৃত্যুের তালে উদযাপিত শোকের উৎসব, শবমঞ্চ থেকে দাহশালা সর্বত্র ভক্তকুলের ভীড়। উপলক্ষ শেষ শ্রদ্ধা। বৌদ্ধ বিশ্বাসে শোক নেই আছে শেষ বিদায়ের শ্রদ্ধা, কিন্তু কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে সারমিত্র মহাথেরোর জাতীয় অন্ত্যষ্টিক্রিয়া উদযাপন পরিষদের সভাপতি করুনাশ্রী থেরো বলেন, সারাটা টি জিবন মানবকল্যানে নিজেকে সমর্পিত করেছেন তাই অন্তিমকালে এ শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়াস, যাতে সমাজ ও প্রজন্ম শিক্ষা নেয় উত্তম কর্মের ফল সুশোভিত হয়।
রামুর উত্তর মিঠাছড়ির প্রজ্ঞামিত্র বনবিহারের মাঠ প্রাঙ্গনে প্রয়াত অধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথেরোর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট শামসুল হল টুকু বলেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশের উগ্রসাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল,ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভুষণ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধমীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অন্ত্যষ্টিক্রিয়া উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া জানান, লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হয়েছে শেষকৃত্যে। প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি,রাজনীতিবিদ সকলের অকৃত্রিম সহযোগিতায় একটি আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করায় কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
মাত্র ৭ বছর বয়সে সারমিত্র মহাথেরো শুরু করেন প্রবজ্যা জীবন,আর ৫২ বছর বয়সে ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল পাড়ি জমান পরলোকে। ৮ মাস পর শেষকৃত্যে শেষ শ্রদ্ধার আলোকময় সন্ধ্যা।
অতঃপর সন্ধ্যার দাহশালার অগ্নিমঞ্চের চন্দন পালংকে জ্বলে ওঠে আগুন,ভক্তকূলে তখন কান্নার রোল
আগুনের শিখায় ভেসে আসে সাধু সাধু ধ্বনি, বিদায় সারমিত্র মহাথেরো,বিদায়
নির্বানের আলোকয় পথে বিদায়…।