ডাঃ শাহজাহান নাজির:
১৬ বছরের মারমা বালক, সোনাইছড়ি, নাইক্ষনছড়িতে সোমবার (২১ জুন) রাত ১১ টা চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘুমাতে গেলে ঘরের মধ্যে সাপে কাটে।
রাতে মন্ত্র তন্ত্র পড়ে পানি খাওয়ালে ও চোখ বুঝে আছে, গলা জড়িয়ে আসছে, বমি করছে এবং ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসতে দেখে পরের দিন মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সকালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাওয়াজ দেখে নিউরোটক্সিক সাইন্স সবই আছে, আমার ম্যাসেঞ্জারে ছবি ও ভিডিও পাঠায়। তার পাঠানো ছবি দেখেই ৬টা ৪৫ মিনিটে হাজির হলাম হাসপাতালে।
যাওয়ার সময় পথে এনেস্থিসিয়ার ডাঃ তমাল কে ফোন দিলাম, সে স্টেশনে না থাকায় ডাঃ শরিফ ভাই নিজেই বললেন “আসতেছি “। গিয়ে দেখলাম স্যাসুরেসন ৯২%।
যথারীতি নিয়ম অনুযায়ী এড্রিনালিন দিয়ে সকাল ৭টা ২০মিনিটে এ ১ম ডোজ এন্টিভেনম শুরু করলাম। ইতিমধ্যে স্যাসুরেসন ৭০% নেমে আসছে দেখেই ডাঃ শরিফ ভাই ইন্টিউবেসন করলেন।
সকাল ৮টা ২০মিনিটে এ ১ম ডোজ শেষ হলে ও তেমন কোন উন্নতি হলো না। ঘন্টা খানেক দেখার পর ১০টায় দ্বিতীয় ডোজ শুরু করা হলো।
তারপর ও তেমন উন্নতি নাই। তাই ঘন্টা খানেক দেখার পর ১২ টায় ৩য় ডোজ দেয়া হলো। তারপর হালকা উন্নতি দেখেই, সাপোর্টিভ মেডিসিন দিয়ে আগাতে লাগলাম। ভেন্টিলেটর তো আছেই।
২৪ ঘন্টা পর উন্নতি ভালোই হলো। ৩৬ ঘন্টা পরে এক্সটিউবেট করার চেষ্টা হলো, কিন্তু করা গেল না। অবশেষে ৫৩ ঘন্টা পরে তাকে এক্সটিবেট করা গেল।
তাই সাপে কাটলে ওঝা নয়, হাসপাতালে চিকিৎসা হয়
Dr Mohammed Shah Jahan