নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৮ ই এপ্রিল,২০২২; সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বকসীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০২১ সালের মার্চে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যে ভারতে গেলে সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮ এপ্রিল ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ভারতে স্ত্রীর চিকিৎসা চলাকালে তিনি প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হলে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
১৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৮ই এপ্রিল ২০২১ সকাল ৯ টা ৪৫ এ (ইন্ডিয়ার সময়) মৃত্যু বরন করেন।
ভেলোরের গান্ধী রোড়ের জামেয়া মসজিদ কবরস্থানে চিরশায়িত হোন সাংনাদিক নজরুল ইসলাম বকসী।
অন্যদিকে একই সময়ে স্ত্রী লুৎফার শরীরে লিম্ফোমা নামের ক্যান্সার ধরা পড়ে।
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বকসী ১৯৫৬ সালের ২৪শে ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চকতিলক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সিকান্দর বকসী ও মাতার নাম শামসুননাহার বেগম।
নজরুল ইসলাম বকসী শাহারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,খাদিমপুর উচ্চবিদ্যালয়, নয়াবন্দর উচ্চবিদ্যালয় ও এমসি কলেজে শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি নয়াবন্দর হাইস্কুলের প্রথম ব্যাচ এসএসসি এবং স্কুল ছাত্র সংসদের প্রথম (নির্বাচিত) ভিপি ছিলেন। ১৯৭৬ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক যুগভেরী পত্রিকার (বর্তমানে দৈনিক) শিশু কিশোর পাতা ‘শাপলার মেলায়’ সভ্য ও লেখক হিসাবে সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট হন। পরে ১৯৭৮ সালে সিলেট সমাচারে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৮০ সালে তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম ও পরে কক্সবাজার চলে আসেন। এখানেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছেন এবং সম্পূর্ণ পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে সংবাদ পত্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি কক্সবাজারের একসময়ের মাসিক বাঁকখালী (বর্তমানে দৈনিক), দৈনিক গিরিদর্পণ, দৈনিক খবর, দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক ইনকিলাব, আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সৈকত, দৈনিক কক্সবাজার, দৈনিক হিমছড়ি, সাপ্তাহিক কক্সবাজার বার্তা, সাপ্তাহিক সাগরকণ্ঠ, সাপ্তাহিক সাগরবাণী, দৈনিক ইনানী, দৈনিক আপনকণ্ঠ, দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর এবং সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগভেরী, দৈনিক বার্তাবাহক, দৈনিক জালালাবাদ ও শ্যামল সিলেটে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।
তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ভয়েস অব আমেরিকা (VOA), ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বৃটিশ ব্রটকাস্টিং কর্পোরেশন (BBC) এবং একই সাথে AFP’র কক্সবাজার স্টিংগার হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া মধ্যখানে সিলেট থাকাকালে কিছুদিন রয়টারের সাথেও কাজ করেন।
“শব্দায়ন” আবৃত্তি একাডেমীর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
নজরুল ইসলাম বকসী ১৯৯৫ সালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক একে.এম শাহাবুদ্দিন -এর বড় কন্যা লুৎফা বকসীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বকসী ও লুৎফা বকসী দম্পতির এক পুত্র সিদরাতুল মুরসালিন ভাষা ও এক কন্যা সিদরাতুল মুনতাহা বর্ণ।