কাব্য সৌরভ, মহেশখালী:
মহেশখালীতে সরকারি সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। টিটিএনে প্রচারিত সংবাদের প্রেক্ষিতে গেলো ২৪ অক্টোবর শাপলাপুর বিটের অধীন চালিয়াতলী অংশ থেকে গাছ উদ্ধার করার একমাস পার হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বনবিভাগ।
শাপলাপুর বিটের অধীন ওই সামাজিক বনায়নের তদারকির দায়িত্বে ছিলো স্থানীয় নাছির নামের এক ব্যক্তি। তিনিসহ একটি চক্র ওই সামাজিক বনায়ন থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠে। পরে তিনি টিটিএনের কাছে জড়িতদের নাম স্বীকার করে বলেন ইউনুছখালীর নুর আলম ও টিপু নামের এক ব্যক্তি মিলে তার দখলে থাকা এক একর পাহাড়ি বন থেকে গাছ কাটেন।
এই বিষয়ে কালারমারছড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, জব্দকৃত গাছ কালারমারছড়া বিটের হেফাজতে রয়েছে, তবে তদন্তের দায়িত্ব শাপলাপুর বিটের।
শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুর আলম নাহিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কিছু বলেননি। এমনকি জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কথাও বলেননি বলে জানান তিনি
এ বিষয়ে মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলীর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে প্রায় এক একর ওই সামাজিক বনায়নের দখলের দায়িত্বে থাকা মোঃ নাছির নামের ওই ব্যক্তি জানান শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা চেয়েছেন ষাইটমারা এলাকার নুর আহমদ নামের এক দালালের মাধ্যমে। তা না হলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ভয়ও দেখান বলে অভিযোগ তার।
এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপের পাহাড় ও বন রক্ষায় বনবিভাগ আন্তরিক না হলে পাহাড়ও বন রক্ষা সম্ভব নয়।