ডেস্ক রিপোর্ট
নানা সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় মাত্র এক দিন ব্যবহার করা যাবে, এ পরিমাণ পেট্রল মজুত রয়েছে।
দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে আর মাত্র এক দিনের পেট্রল মজুত আছে। আগামী কয়েক মাস আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে। আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নিতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
‘অল্প সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘জনগণের কাছে মিথ্যা বলার বা সত্য লুকানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। পরিস্থিতি ভীতিকর, এটাই সত্য। তবে এই সময় দীর্ঘস্থায়ী হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলো আমাদের সহায়তা করবে। তারা এরই মধ্যে সাহায্য করা শুরু করেছে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।
‘আগামী তিন দিনের মধ্যে ১ হাজার ১৯০ স্টেশনে তেল সরবরাহ করা হবে। অনুরোধ করব তার আগে তেলের জন্য লম্বা লাইন না দিতে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। এই পদের জন্য কোনো অনুরোধ করিনি। দেশের সংকট উত্তরণে প্রেসিডেন্ট আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘কেরোসিন, গ্যাস, জ্বালানির লাইন থাকবে না- এমন একটি দেশ গড়ব আমরা। সেখানে কোনো অভাব থাকবে না। জনগণের জন্য এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। কোনো ব্যক্তি, পরিবার বা দলকে রক্ষা করা আমার উদ্দেশ্য নয়। সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
গত কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। এক পর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্প্রতি আরও বড় রূপ ধারণ করে। আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। এতে বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সরকারদলীয় এমপি, পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন নয়জন। আহত হন দুই শতাধিক।
আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
সূত্র: নিউজবাংলা