টিটিএন ডেস্ক:
ভারতীয় উপমহাদেশের মুক্তি আন্দোলন এবং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য আর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের অভিধারাতে, অভ্যুত্থানের পর অভ্যূত্থানের সংকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে গত শতাব্দীর আটের দশকের সূচনা লগ্ন পর্যন্ত আমাদের চেতনার প্রতিটি তন্তুকে রসসিক্ত করে গিয়েছেন যারা, সত্যেন সেন তাদের মধ্যে অন্যতম ।
মানব মুক্তির লক্ষ্যে একটার পর একটা দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে, এক অনন্য সাধারণ উদ্যোগে পুরুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপিত করবার ক্ষেত্রে সত্যেন সেন যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন আজকের প্রজন্মের কাছে তা প্রায় অজানা। সত্যেন সেনের গোটা জীবনের কর্মকাণ্ডের প্রায় সবটাই ব্যাপ্ত ছিল বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে। বহুধাবিভক্ত তার কর্মকাণ্ড। একদিকে রাজনৈতিক অভিধা, অপরদিকে বাংলা ভাষায় ধ্রুপদী ধারার উপন্যাস এবং চরিত্রের সৃষ্টির ভেতর দিয়ে যে এক অনবদ্য অবদান সত্যেন সেন রেখে গিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতে বলতে হয় যে- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস তাঁকে ছাড়া অসম্পূর্ণ।
বাংলাদেশের বৃহত্তর ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের সোনারং গ্রামে এক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী পরিবারের সত্যেন সেন জন্মেছিলেন। পদ্মা, ধলেশ্বরীর বিপুল জলধারার এক রসসিক্ত ভূমি ছিল সত্যেন সেনের মানসলোক গঠনের প্রধান বিষয়। কৈশোর কাল থেকেই বিপ্লবী জীবনে যেন প্রতি পরতে তিনি কখনো এগিয়েছেন ঝঞ্ঝার বেগে, কখনো এগিয়েছেন শান্ত ধীর পদক্ষেপে । এমন দীর্ঘপথ চলার পর ১৯৮১ সালে ৭৪ বছর বয়সে শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লীতে নিজের দিদির বাড়িতে তার জীবন দীপ নিভে যায়।