শাহিদ মোস্তফা:
ছেলের সমবয়সী বা চেহারার মিল কাউকে দেখলেই তিনি ডুকরে কেঁদে উঠেন। ছেলের জন্য নিত্য রান্না করেন, কিন্তু ছেলে ফিরেনা, এমন কতো শত বেলা ছেলের অপেক্ষায় মাও খায়না আর! ছেলের ছবি, কাপড় চোপড়ের মাঝে স্মৃতি খুঁজে ফেরা মার কান্নার আহাজারি যেনো থামেইনা ৩৬৫ দিন পরও!
তিনি কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ের বাসিন্দা, এই অঞ্চলের তরুণ সংগীত শিল্পী জনি দে রাজের মা। গত বছর এমনই এক শরতের শুভ্র সকালে উদীয়মান এই শিল্পীকে বাড়ি ফেরার পথে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এক বছর পার হলেও বিচারই শুরু হয়নি এই হত্যাকাণ্ডের। নিজের মৃত্যুর আগে ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চান নিহত জনির মা।
হত্যাকাণ্ডের পর নিহত জনির বাবা তপন কান্তি দে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর সন্দেহজনক সিএনজি চালকসহ ৩ জনকে আটক করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু এরপর মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই জানেননা মামলার বাদী।
এদিকে এ মামলার তদন্ত করছিলেন ডিবি পুলিশ। ডিবি সূত্রে জানা গেছে দুই মাস আগে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের মোটিব দেখে পুলিশ অনুমান করছে হত্যাকারী খুবই চতুর।
এলাকাবাসীর দাবী, দ্রুত ঘটনার ক্লু উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।
গেলো বছরের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঈদগাঁও ঈদগড় সড়কের পানের ছড়া ঢালা নামক স্থানে পৌঁছলে বহনকারী সিএনজি থামিয়ে দুর্বৃত্তরা উপর্যপুরী কুপিয়ে হত্যা করে জনি দে রাজকে। সেসময় বাঁধা দিতে চাইলে মোহাম্মদ কালু নামের অপর এক সিএনজি যাত্রীকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর মারা যায় কালুও।