বিশেষ প্রতিবেদক:
টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকে মুখরিত। শুক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বাড়তি ছুটি হিসেবে যোগ হয়েছে বড়দিন। এই তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। শীতের মিষ্টি রোদে বালিয়াড়িতে ছুটাছুটি আবার সমুদ্রের লোনা জলে গা ভাসাচ্ছে কক্সবাজারে ভ্রমনে আসা মানুষেরা।
ইট পাথরের শহর থেকে বেরিয়ে পরিবার নিয়ে উন্মুক্ত একটা পরিবেশে এসে খুব ভালোই সময় কাটাচ্ছে তারা। কক্সবাজার এসে সৈকতে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে কেউ এসেছে পরিবার নিয়ে আবার কেউবা বন্ধুদের নিয়ে বের হয়েছেন ভ্রমনে। ভ্রমন আনন্দে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ্ট পর্যটকেরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সাবরিনা জানান, অফিস কলিগদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। আমরা যারা চাকরি করি সাধারণত ছুটি বের করা কঠিন। টানা ৩ দিনের ছুটি পাওয়ায় বেড়ানোর জন্য কক্সবাজারকে বেচে নিয়েছি।
সমুদ্র পাড়ে সকাল থেকে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। বাড়তি পর্যটকের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে লাইফগাড সদস্যরা। তারপরও নিরাপত্তা নিয়ে কোন ঘাটতি নেই তাদের। সমুদ্রে গোসলে নামতে গিয়ে যাতে কোন দূর্ঘটনায় পড়তে না হয় সে বিষয়ে কঠোর নজরদারীতা বাড়িয়েছে সৈকতের সবকটি পয়েন্টে।
সী সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদিন ভুট্টো জানান, সমুদ্রে যারা গোছলে নামবে তাদের নিরাপত্তার জন্য চার পয়েন্টে সকাল সন্ধ্যা কাজ করছে লাইফ গার্ড সদস্যা। সমুদ্রে হলুদ পতাকা টাঙ্গানো স্থানে পর্যটকদের গোছলের পরামর্শ দেন এই লাইফ গার্ড সদস্য।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় কাজ করছে জেলা প্রশাসন, সে সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এই কর্মকতা।
তিনি জানান, টানা তিন দিনের ছুটিতে অন্তত ৪ লক্ষাধিকের বেশী পর্যটক সমাঘম ঘটবে পর্যটনের এই শহরে। শুক্রবার কক্সবাজারে পর্যটক এসেছে ১ লাখের বেশী। এসব পর্যটকদের হয়রানীররোধে হোটেল মোটেল জোনসহ বিভিন্ন স্থানেও গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।