নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাত্র একদিনের সফর। কিন্তু এই অল্প সময়ে সারতে হবে শিডিউলের সব কাজ। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি রাজকন্যার দেখার আগ্রহ স্থানীয় নাগরিকদের অবস্থাও। তাই দিনব্যাপী সফরের ব্যস্ততার ফাঁকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই লাঞ্চ সেরে নেন ড্যানিশ রাজকুমারী মেরি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন।
রাজকন্যার সফরে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ক্যাম্প এইট ডব্লিউ’র রোহিঙ্গা কোর্ডিনেশন অফিসে (আরসিও) একটা সেন্ডইউচ আর এককাপ কফিতে লাঞ্চ সারেন রাজকন্যা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনব্যাপী তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ৫০ বছর বয়সী রাজকুমারী মেরি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন।
সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার ৫ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ভাঙ্গন রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিলের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি যান ক্যাম্প এইট ডব্লিউ তে। সেখানে সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারে দাড়িয়ে ক্যাম্প পরিস্থিতি অবলোকন করেন আর হাত নেড়ে রোহিঙ্গাদের শুভেচ্ছা জানান।
এরপর ক্যাম্প ছ’য়ে রাজপ্রাসাদের রাজকুমারী মেরী নেমে যান পথের ধারে। পায়ে হাটেন প্রায় ১ কিলোমিটার পথ। আর হাঁটতে হাঁটতে কথা বলেন রোহিঙ্গাদের সাথে। কখনওবা কোনো নারীর কান্নায় কখনওবা শিশুদের হাসিতে যেনো হারিয়ে যায় রাজকুমারী মেরি।
এরই ফাঁকে ক্যাম্প এইট ডব্লিউর রোহিঙ্গা কোর্ডিনেশন অফিস, আরসিও তে একটা সেন্ডইউচ আর এককাপ কফিতে লাঞ্চ সারেন মেরি।
সবশেষ আরসিওতে উপকারভোগী রোহিঙ্গাদের সাথে বৈঠক শেষে ড্যানিশ রাজকুমারী মেরি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ভুমিকা অত্যন্ত প্রশংসিত।
সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন রাজকুমারী।
এসময় রাজকুমারী মেরি, ডেনমার্কের উন্নয়ন সহায়তা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মরটেনসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রপ পিটারসন আরসিও তে বৃক্ষরোপন করেন।
পরে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলতে রাজকুমারী যান উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি গ্রামের আব্দুল হকের বাড়ীতে। বাড়ীর আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত হয় উঠান বৈঠক। ড্যানিশ রাজ পরিবারের এ সদস্য মাটিতে বিছানো পাটিতে বসেই অংশ নেয় স্থানীয়দের সাথে আলোচনায়, যেখানে স্থানীয়দের নানান বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়। এই উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাজকুমারী মেরীর কক্সবাজার সফরের আনুষ্ঠানিকতা।
