রবিবার, এপ্রিল ২, ২০২৩

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সবার আগে

রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করলেন মিয়ানমারের এনইউজি’র স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 

সায়ন্তন ভট্টাচার্য।

প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নিজেদের মানুষ বলে স্বীকার করে নিলেন দেশটির ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট, এনইউজির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ওয়েই সো রোহিঙ্গাদের এনইউজি কীভাবে দেখে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের লোক এবং তারা আমাদের একজন।’ এবং তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া দরকার।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট হলে আয়োজিত ‘মিয়ানমারে শান্তি পুনরুদ্ধার: সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর’ শীর্ষক একটি সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করেছিল সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস)।

এখানে বিশ্লেষকরা বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পরও মিয়ানমারে শান্তি ফেরার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নমনীয় হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। বরং নমনীয় হওয়ার পরিবর্তে সামরিক শাসন ধরে রাখার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যতক্ষণ না সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা ছাড়তে চাপ দিতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমারে শান্তি ও গণতন্ত্রের সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে যাবে।

বিশ্লেষকরা গত বছর মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া ‘বার্মা অ্যাক্টের’ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই আইনের কারণে ওই অঞ্চলে সংঘর্ষ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কোনো পক্ষে না যাওয়ার ব্যাপারে তারা গুরুত্বারোপ করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক ভূ-রাজনীতি অনেক পুরনো। এখানে ভারত চীনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। আবার চীন ভারতকে একদিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ‘বার্মা অ্যাক্ট’ এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করতে পারে। এটি হয়তো আমাদের জন্য ভালো হবে না।

সেমিনারে মন্ত্রী জো ওয়েই সো আরো বলেন, মিয়ানমারের ৫০ ভাগের বেশি অঞ্চল এনইউজি নিয়ন্ত্রণ করে। এ পর্যন্ত মিয়ানমার জান্তার ২০ হাজারের বেশি সেনার মৃত্যু হয়েছে।
এনইউজির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই যুদ্ধে অবশ্যই তারা জিতবেন।

অস্ট্রেলিয়া থেকে যুক্ত হয়ে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি হ্লা মিন্ট বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এখন এক হচ্ছে। কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি, এক না থাকলে আমাদের সমস্যা হবে।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য ‘ইস্টার্ন অ্যাপ্রোচ’ (চীনা নীতি) নয় পশ্চিমা নীতি (বার্মা অ্যাক্ট) অনুসরণ করা প্রয়োজন।’’

সর্বশেষ খবর

কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৩ সদস্য কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ

আয়াছুল আলম সিফাত : কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১ এপ্রিল) ভোরে কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং...

টেকনাফে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ শাহীন,টেকনাফ : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে টেকনাফ পৌরসভায় মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার মৎস্যজীবী সমিতি হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের পরিদর্শক...

সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজার’র আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল মিশুকের হল রুমে সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সভাপতি এম.এ আজিজ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ এক শিশু

  শামীমুল ইসলাম ফয়সাল, উখিয়া: উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন, এ ঘটনায় ১২ বছরের এক শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা ক্যাম্প-৮...