নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের রামুতে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে রোগ নির্ণয়ে ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দৈনিক আজকের পত্রিকার রিপোর্টার শিপ্ত বড়ুয়া এই অভিযোগ করেন।
শিপ্ত বড়ুয়া বলেন, গত ১১ই জানুয়ারি তার বড় ভাইকে নিয়ে রামু সূর্যের হাসি ক্লিনিকে এস বিলিরোবিন, এস.জি.পি.টি ও এস.জি.ও.টি টেস্ট করাতে গেলে সেখানে ল্যাব টেকনোলজিস্ট মো: আকতারুজ্জামান এই ভূয়া রিপোর্ট দেন।
এদিকে তিনি আরও জানান, সূর্যের হাসিতে দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে ডা. আরিফুর রহমানকে দেখালে ভূয়া রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। সত্যতা নিশ্চিতে একইদিনে রামু পপুলার প্যাথলজিতে ওই তিনটি টেস্ট করালে সূর্যের হাসিতে ভূয়া রিপোর্টের বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
গত বৃহস্পতিবার সূর্যের হাসি ক্লিনিক ল্যাবে গিয়ে এস.জি.পি.টি ও এস.জি.ও.টি এই দুটি পরীক্ষা করানোর মেডিসিন রি-এজেন্ট আছে কিনা দেখতে চাইলে ল্যাব টেকনোলজিস্ট মো. আকতারুজ্জামান দেখাতে পারেননি। তাছাড়া তিনি ভূয়া রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চান।
অভিযোগের বিষয়ে রামু সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘রিপোর্টটা নিয়ে আমি কনসার্ন না। ল্যাবের বিষয় নিয়ে আমি জানি না, আমি ম্যানেজার আমি অফিস চালাই।
মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লিভারের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা নিয়ে রামু সূর্যের হাসি ক্লিনিকের এমন ছেলেখেলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) সভাপতি মাস্টার আলম বলেন, এটা অত্যান্ত দুঃখজনক একটি বিষয়, এরকম ভূয়া রিপোর্ট আশাজনক নয়। প্রশাসনের আরও নজরদারি বাড়ানো দরকার।
এদিকে এই ভূয়া রিপোর্টের বিষয়টি সামনে আসায় রামু সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ল্যাবের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জানান, সূর্যের হাসির বিরুদ্ধে অভিযোগটি শোনেছি। শীঘ্রই অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।