রামু প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের রামুতে গরু ডাকাতি ও চুরির বিরুদ্ধে রামু ডেইরি ও প্রান্তিক খামারিদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শতাধিক খামারি অংশ নেয়।
রবিবার সকালে রামু উপজেলা পরিষদ নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে একাধিক খামারি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে উপজেলার খামারি ও ডেইরি ও প্রান্তিক খামারি এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেন বলেন, আমার নিজের খামার থেকেই পাঁচটা গরু ডাকাতি করে নিয়ে গেছে অস্ত্রধারী ডাকাতদল। সম্প্রতি রামুতে আশংকাজনকহারে গরু ডাকাতি ও খামারিদের হত্যার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না কেনো এটা দুঃখজনক।
এদিকে গরু ডাকাতি ও খামারিদের হত্যার প্রতিবাদে খামারিরা একটি প্রতীকী গরুর গায়ে ‘অস্ত্রধারী ডাকাতদের হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচান’ স্লোগানে একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি ‘সরকার বলে উদ্যোগী হও, ডাকাত বলে দেখে নেবো’ সহ আরও বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা গেছে।
রামুতে গত এক বছরে আশংকাজনকহারে গরু ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটলে ডাকাতদলের সদস্য আটক বা গরু উদ্ধারের তেমন কোন ঘটনা নেই বলেও মন্তব্য করেন অন্যান্য বক্তারা। ডেইরি ও প্রান্তিক খামারি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আক্তার কামাল বলেন, আমাদের খামার থেকে ডাকাতি করা গরু মিয়ানমার থেকে আসা চোরাচালানের গরুর সাথে একই গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । মিয়ানমারের চোরাচালানের গরুও এখন ডাকাতি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
সূত্র বলছে, গত বছরের ২০ নভেম্বর মেরংলোয়ার মোবাশ্বর আহমদের বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তিনটি গরু, এবছরের ৮ জানুয়ারি সিকদার পাড়া নুরুল হকের বাড়ি থেকে ৪টি গরু, ১০ জানুয়ারি অফিসেরচরের কৃষক মো: আলীর বাড়ি থেকে দুটি গরু ডাকাতি এবং তার ভাতিজাকে হত্যা করে।
এসব ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন গরু উদ্ধার বা কাউকে আটক করা যায়নি।