রামু প্রতিনিধি:
রামুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একই রাতে নিয়ে গেছে দুই পরিবারের পাঁচটি গরু। রবিবার ভোর রাতে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামের মোবাশ্বর আহমদের বাড়ি থেকে বাচুরসহ তিনটি এবং নূর আহমদের বাড়ি থেকে বড় দুইটি গরু নিয়ে গেছে। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য চার লক্ষ টাকা বলে জানান এই খামারীরা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল হাকিম জানান, তিনি রবিবার ভোর রাতে বাড়ি থেকে বের হন তিনটার দিকে। এসময় গাড়িতে করে কিছু লোককে এলাকার রাস্তায় ঘুরাফেরা করতে দেখে তাদের কাছে কেন এসেছে জানতে চায়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয় এবং ইয়াবা পাচারকারীকে ধরতে এসেছে বলে জানান। ডাকাতদের মধ্যে একজন তার দিকে বন্দুক তাক করলে তিনি ভয়ে বাড়িতে চলে যান। পরে শুনতে পান গরু ডাকাতি হয়েছে।
এর আগেও গত কয়েকমাসে কয়েক দফায় গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটে রামুতে। কিন্তু ডাকাতি হওয়া গরুর কোন কূল কনারা করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার বিষয়ে মানবজমিন পত্রিকার রামু প্রতিনিধি আল মাহমুদ ভুট্টো জানান, তার বড় বোন কষ্ট করে দীর্ঘদিন ধরে দুইটি গরু লালন পালন করছিলেন। কিছুদিন আগে একটি গাভী বাচ্চাও দেয়। এখন পরিবারের একমাত্র সম্বল গরুগুলো হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী নূর আহমদ বলেন, গভীর রাতে গোয়ালে থাকা গাভীসহ দুইটি বড় বড় গরু নিয়ে গেছে ডাকাতদল। যার আনুমানিক মূল্য হবে আড়াই লাখ টাকা। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেই ডাকাতি হয় গরু।
উপজেলার আরেক খামারী মোজাফফর আহমদ জানান, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গরু ডাকাত সিন্ডিকেট সদস্যরা অনেক শক্তিশালী। নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকলে গরু ডাকাতি বন্ধ করা সম্ভব না।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, গরু ডাকাতির বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গরু ডাকাতি বিষয়টা আগে শুনিনি, এখানে কোন একটা রহস্য আছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা, ফতেখাঁরকুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে রাতের বেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন স্থানীয় খামারীরা।