বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সবার আগে

মেরিন ড্রাইভ গাড়ি থামলে টোকেন ধরিয়ে দিয়ে নিচ্ছে চাঁদা

তানভীর শিপু:

এটি পর্যটন শহরের মেরিন ড্রাইভ।হাজারো পর্যটক এক পাশের পাহাড় অন্য পাশের সমুদ্র দেখতে আসে মেরিন ড্রাইভে।
হিমছড়ি পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। রাস্তার গাড়ি থামলে টোকেন ধরিয়ে নিয়ে নিচ্ছে চাঁদা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন,কখনো পর্যটক,আবার কখনো গাড়ির চালকেরা প্রতিনিয়ত জিম্মি থাকে তাদের হাতে।অভিযোগ আছে টাকা দিতে না চাইলে কখনো হাতাহাতি আবার এমনকি পর্যটক সহ গাড়ির চালকেরা মারধরের শিকার হন তাদের হাতে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সরজমিনে দেখতে আমাদের অবস্থান হিমছড়ি পয়েন্টে।ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রেস্তোরায় খেতে আসা পর্যটক থেকে টোকেন দিয়ে টাকা নেয়া হচ্ছে।টাকা নেয়ার সাথে সাথে আমাদের দেখে সটকে পড়ে এই লোক

সরজমিন গিয়ে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে এক পর্যটক গাড়িটি রাখতেই এগিয়ে আসে আরেকজন ব্যাক্তি তার নাম রহমত উল্লাহ তিনি সাবেক মেম্বার কামাল হেসেনের ছোট ভাই।কেনো প্রকাশ্য তিনি রাস্তায় চাঁদা নিচ্ছেন সেটি জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে পালিয়ে যায়।

পর্যটকরা বলছে মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি ছাড়াও পাটুয়ারটেক ও ইনানীতে রাস্তার পাশেই গাড়ি রাখলেই দিতে হচ্ছে টাকা।এতে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

টিটিএনে উপস্থিতে দেখে এগিয়ে আসে চালকেরা। তারা বলছেন,হিমছড়ি পয়েন্টে চাঁদা না দিলে তাদের গাড়িতে হামলা সহ তাদের গাড়ি জিনিস পত্র রেখে দেয়।

হিমছড়ি বাজার দোকান মালিক সমিতি নেতারা ও ব্যবসায়ীরা বলছে হিমছড়ি পয়েন্টের রাস্তার পাশেই পর্যটকরা এক কাপ ১০ টাকা দামের চা খেতে দাড়ালেই এদের দিতে হয় ৫০ টাকা।রেস্টুরেন্টে ঢুকলে ত হিসাবটা আরো বেশী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্দিস্ট স্থান ছাড়া প্রধান সড়কে টোকেন দিয়ে টাকা উত্তোলন করা অবৈধ।তিনি অভিযোগ করেন সাবেক মেম্বার কামাল টোকেন দিয়ে টাকা উত্তোলনে জড়িত।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সেই সাবেক মেম্বারের কামালের সাথে। তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

জানা গেছে রামু উপজেলার বিদায়ী ইউএনও প্রণয় চাকমার সময় খাস কালেকশানের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে উপজেলা প্রশাসন নির্দিস্ট জায়গা ছাড়া রাস্তা থেকে টাকা উত্তোলন করা কতটুকু বৈধ সেটি জানতে আমরা মুঠুফোনে যোগাযোগ করি রামুর বর্তমান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফার সাথে। তিনি জানান বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে প্রতিমাসে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা উঠে এই জায়গা থেকে।গেলো বছর ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে হিমছড়ি ঝর্ণার পাশের পার্কিং এর ইজারা দেয়া হলেও নানা কারনে তা বাদ দিয়ে খাস কালেকশন করা হচ্ছে। তবে নিয়ম না থাকলেও খাস কালেকশনের নামে পর্যটক হয়রানি কেনো? আরেকটি সুত্র বলছে,খাস কালেকশন সরকারি কর্মচারি করার নিয়ম থাকলেও করছে স্থানীয় প্রভাবশালী,তারা কারা? অন্যদিকে যতো টাকা আয় হয় তার সব কি সরকারি কোষাগারে যায়? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়!

 

সর্বশেষ খবর

জালালাবাদে স্বামীর দোষে স্ত্রী- দুগ্ধপোষ্য শিশু আটকঃ নাটকীয় কায়দায় মামলা

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঘটে যাওয়া ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে না পেয়ে তার স্ত্রী,...

এমবাপ্পেই ফ্রান্সের অধিনায়ক

টিটিএন ডেস্ক: গুঞ্জনই সত্যি হলো। ফ্রান্সের ইউরো বাছাইয়ে অধিনায়ক হলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কোচ দিদিয়ের দেশম নতুন অধিনায়ক হিসেবে এই স্ট্রাইকারকে নিশ্চিত করেছেন। বিশ্বকাপ শেষে উগো লরিস...

সৌদিতে রোজা শুরু বৃহস্পতিবার

ডেস্ক রিপোর্ট: সৌদি আরবে মঙ্গলবার হিজরি রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হবে বৃহস্পতিবার। আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের...

চকরিয়ায় ভেজাল ঘি’র কারখানা,আবাসিক হোটেলে অভিযান,জরিমানা ও সিলগালা

  সাইফুল ইসলাম সাইফ: কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভেজাল ঘি এর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে ফাঁসিয়াখালীর রাজারবিলের একটি বাসায় এ অভিযান চালানো হয়। গোপন...