আয়াছুল আলম সিফাত :
টেকনাফের বাহারছড়ায় অপহরণের শিকার ৮ বাংলাদেশী ফিরে এসেছে। বুধবার দিবাগত রাত ২ টায় তারা জাহাজপুরা এলাকায় অক্ষত অবস্থায় নিজেদের বাড়িতে আসে। এরপরই তাদের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
তবে স্বজনদের অনেকেই বলছেন মুক্তিপনের বিনিময়ে ফিরে আসে অপহৃতরা।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অপহরনের শিকার হয়ে ফিরে আসা ব্যক্তিদের আনা হয়। সেখানে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সন্ত্রাসীরা ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় এবং মারধর করা হয়।
অপহনের স্বীকার ব্যক্তিরা আরো জানান, সন্ত্রাসীরা অস্ত্রধারী এবং রোহিঙ্গা ছিলেন।
তবে মুক্তিপনের লেনদেন নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও পুলিশের সাড়াশি অভিযানের কারনেই অপহৃতদের ফিরিয়ে দিতে সন্ত্রাসীরা বাধ্য হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
এছাড়াও তিনি আরো জানান প্রাথমিক ভাবে পুলিশ বলছেন অপহরণকারীরা রোহিঙ্গা নয় বাংলাদেশী সন্ত্রাসী গ্রুপ ছিলেন।
ফেরত আসারা হলেন জাহাজপুরা এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহামদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, একই এলাকার সৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ, সৈয়দ আমিরের ছেলে করিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক ও নুর মোহাম্মদ এবং রশিদ আহমদের ছেলে আবছার।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়ার জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ঘেঁষা খালে মাছ ধরতে গেলে সন্ত্রাসী একটি গ্রুপ ওই আটজনকে অপহরণ করে। পরে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে চিরুনি অভিযান শুরু করেন।
এদিকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে বেলা ১২ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়৷ অন্যদিকে স্বস্তি ফিরেছে স্বজনদের মাঝে