আসিফুজ্জামান সাজিন:
সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে প্রথম ম্যাচেই বড় অঘটনের শিকার আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির হাতে যে একটি বিশ্বকাপ শিরোপা সবাই দেখতে চায়, সেটা প্রচণ্ড রকমের হোঁচট খেলো প্রথম ম্যাচেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসেও বলা যায় বড় অঘটন। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর পরাজয়ের স্বাদ নিতে হলো আর্জেন্টাইনদের।
একেবারে অপ্রত্যাশিত। এমন একটি ফল হবে কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। অথচ, ভাবনারও অতীত সে ঘটনা ঘটলো আজ দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেলো লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার ছন্দ নিজেদের রূপেই দেখা গিয়েছিল; কিন্তু তার দ্বিতীয়ার্ধে মেসিদের দেখা গেলো সৌদি আরবের আক্রমণ রুখতে মহা ব্যাস্ত। ৪৮-৫৩ এই মাত্র ৫ মিনিটের দুটি আক্রমণেই তছনছ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্স। এই দুটি আক্রমণ থেকেই ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটনের দুটি গোল হজম করলো লা আলবিসেলেস্তারা।
যদিও, ম্যাচের ৮ম মিনিটে কর্নার কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসি কিক নেওয়ার সময় বক্সের মধ্যে লিয়ান্দ্রো পারদেসকে ধাক্কা ফেলে দেন আল বুলাইহি। এরপরই ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন মেসি।
২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত আর্জেন্টিনা। সৌদির জালে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ভার-এর সাহায্যে তা বাতিল হয়। মেসি অফসাইড হয়ে ছিলেন। ২৮তম মিনিটে আরও একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে। এবার লাউতেরো মার্টিনেজ। ৩৫তম মিনিটে তৃতীয়বারের মতো অফসাইডের কারণে আর্জেন্টিনার গোল বাতিল হয়। আবারও সেই লাউতেরো মার্টিনেজ অফসাইড হয়ে ছিলেন।
১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল সৌদি আরব। এরপর আরও চার আসরে খেলে একবারও গ্রুপপর্বের বাধা পেরোতে পারেনি গ্রিন ফ্যালকনরা।
কাতারে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নেমে আরবের মাটিতে স্বপ্ন দেখছিল সবুজ পতাকার জয়রথ ছোটাতে। কঠিন সব প্রতিপক্ষ সামনে থাকলেও নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল তারা। হট ফেবারিট আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শুরুটা স্মরণীয় করে রাখল দলটি। অবশ্য এমন সাফল্যের নেপথ্যে আছেন সৌদি আরবের ফরাসি কোচ হার্ভে রেনার্ড।