সৌরভ দেব
মহাবিশ্বে আর কোনো মহাকাব্য কী রচিত হয়েছিলো সেদিন রাতে! মর্ত্যে কী সেদিন নেমে এসেছিলো কোনো দেবতা!
যার জন্য গাওয়া যায়- আমি তোমারি তোমারি, তোমারি নাম গাই কিংবা তুমি কেমন করে গান করো হে গুণীর মতো গানের চয়ন।
আরব সাগরের কিনারে একখণ্ড মরুর বুকে এক দেবতা এসছিলো বটে! যাকে ঘিরে বন্দনা করা যায়, যাকে নিয়ে কাব্য করা যায়।
আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিয়ে সেই দেবতার হাতে তুলে দেয়া হলো ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক। যে স্মারক কিংবা ট্রফি উচিয়ে আরব্য রজনীতে ধ্বনিত হলো ভামোস আর্জেন্টিনা – ভামোস আর্জেন্টিনা।
আর এ যেনো দেবতা মেসিকে পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে নিজের আক্ষেপ গোছালো ফুটবল।
তার আগে মেসির নেতৃত্বে আলবিসেলেস্তারা জানান দেয় – বিনা যুদ্ধে নাহি দিব স্যুচাগ্র মেদিনী।
৩৬ বছরের হৃদয়ভাঙা প্রেমিকা ফিরে আসা সমর্থকরা কী ঘুমিয়েছিলো সে রাতে? নাকি রোমাঞ্চে মেতেছিলো! এ নিয়েও হতে পারে কতো কতো কাব্য।
পৃথিবীতে আরেকবার জয়ধ্বনী উঠলো লাতিন শৈল্পিক ফুটবলের। হতে পারতো ফরাসি বিপ্লবের নতুন ছন্দে লেখা ইতিহাস। তাই যদি হতো, অশ্রু বন্যায় হয়তো আরব সাগরে মিশে যেতো নতুন কোনো নদী।
কিন্তু উপরে থাকা আরেক দেবতা ম্যারাডোনা নিশ্চয় দুহাত ভরে শিষ্যকে দিয়েছিলো আশীর্বাদ।
তাই হয়তো ফিরে আসেনি ২০১৪, ফিরে এসেছে ১৯৮৬।
যে পিতা কেঁদেছিলো ৯০ এ, যে পুত্রের চোখের জন গড়িয়েছিলো ২০১৪ তে, সে পিতা পুত্র এবার একসাথে কেঁদেছে, উল্লাসে উদযাপনে।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর, ওরে তোরা সব জয়ধ্বনি কর…