আয়াছুল আলম সিফাত :
ন্যায্যমূল্য পাওয়ার কারণে কক্সবাজারে আগাম মাঠে নেমে পড়েছে লবন চাষীরা। নভেম্বরের শেষের দিকে মৌসুম শুরু হলেও এবার অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে মাঠে নেমে যায় চাষীরা। কুতুবদিয়াসহ বেশকিছু এলাকায় ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় মাঠ প্রস্তুতের কাজ চলছে। সবমিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে লবণ চাষীরা।
দামের এই ধারা অব্যাহত রাখার দাবী চাষীদের।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিকের) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টন লবন মাঠে মজুদ রয়েছে। এরফলে লবন আমদানী করেনি সরকার। ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে কুতুবদিয়ায় ১০০ মেট্রিক টন লবন উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে লবনের বাজার দর মন প্রতি ৫০০ থেকে সাড়ে ৫৫০ টাকা।যেটি এক বছর আগেও ছিলো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা মনপ্রতি।
স্থানীয় লবন চাষীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করা সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের চক্রান্তের ফলে প্রতিবছর ভুল তথ্য ছড়িয়ে সরকার লবন আমদানি করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষীরা। কিন্তু এবছর আমদানী না করায় লবনের দাম বেড়েছে। এই ধারা বজায় থাকলে চাষীরা চাষে উদ্ভুদ্ধ হবে বলে দাবী তাদের।
কক্সবাজারে গেলো মৌসুমে ৬৩ হাজার ২৫৩ একর জমিতে লবন চাষ হয়েছে। বিসিকের প্রত্যাশা দাম ভালো পাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে সেই লক্ষ্যমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও গেলো বারের ২৩ লক্ষ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন স্থিতিশীল থাকায় সরকারের আপাতত লবন আমদানির কোন পরিকল্পনা নেই বলছে বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া।
সারাদেশের চাহিদার সব লবন উৎপাদন হয় কক্সবাজার এবং পাশ্ববর্তী বাঁশখালী উপজেলায়। চাষের সাথে জড়িত প্রায় ৩৮ হাজার চাষী আর লাখো মানুষের স্বার্থ যেনো ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে নজর রেখে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সংশ্লিষ্টদের।