রবিবার, এপ্রিল ২, ২০২৩

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সবার আগে

বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিচ্ছেন রনিল বিক্রমাসিংহে

টিটিএন ডেস্ক:

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে।

শ্রীলঙ্কাভিত্তিক ডেইলি মিরর প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি শপথ নেবেন বলে জানিয়েছে তার দল।

গত সোমবার মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন রনিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন বিক্রমাসিংহে।

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা গিয়েছিল প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিদ প্রেমাদাসার নাম। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তিনি নেবেন যদি দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে তার পদ থেকে সরে যান।

জানা গেছে, শপথ শেষে রনিল বিক্রমাসিংহে কলম্বোর একটি মন্দিরে যাবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ শুরু করবেন।

গত কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। এক পর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভ দমাতে এপ্রিলের শুরুতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়। উল্টো মাত্রা আরও তীব্র হয়।

সরকারবিরোধী আন্দোলন গত সোমবার আরও বড় রূপ ধারণ করে। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। এতে বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়। দুই শতাধিক মানুষ আহত হন।

সংঘর্ষে সরকারদলীয় এমপি, পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন সাতজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।

আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

বিক্ষোভকারীরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের কুরুনেগালা শহরে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্য বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীর বাড়ি ও গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে কলম্বো এবং পরে পুরো দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

এরপর সেনা পাহারায় কলম্বোর সরকারি বাসভবন ছাড়েন মাহিন্দা। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ত্রিনকোমালিতে একটি নৌ ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন মাহিন্দা ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর

কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৩ সদস্য কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ

আয়াছুল আলম সিফাত : কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১ এপ্রিল) ভোরে কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং...

টেকনাফে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ শাহীন,টেকনাফ : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে টেকনাফ পৌরসভায় মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার মৎস্যজীবী সমিতি হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের পরিদর্শক...

সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজার’র আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল মিশুকের হল রুমে সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সভাপতি এম.এ আজিজ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ এক শিশু

  শামীমুল ইসলাম ফয়সাল, উখিয়া: উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন, এ ঘটনায় ১২ বছরের এক শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা ক্যাম্প-৮...