আবুল কাশেম,কুতুবদিয়া:
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, যে শিক্ষার সহিত আনন্দ নেই, সে শিক্ষা মূল্যহীন। মনের জাগরণ ছাড়া শিক্ষা তো অনেকটা অর্থহীনই বটে। আর শিশু মনে শিক্ষার বীজ বপনের ক্ষেত্রে তো আনন্দের কোনো বিকল্পই নেই!
কুতুবদিয়ার জালাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১৫ সালে দ্বীপ উপজেলার লেমশীখালীতে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির শ্রেনীকক্ষ গুলো যেনো একেকটা খেলাঘর। পুরো স্কুল আঙিনাকেই যেনো আনন্দের সহিত শিক্ষার অনন্য ক্ষেত্র বানানো হয়েছে। শ্রেণীকক্ষ গুলো রঙের আঁচড়ে হয়ে উঠেছে একেকটা ক্যানভাস, সেই সাথে বিদ্যালয়ে আছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, শহীদ মিনার, শিশুদের যাবতীয় খেলনা-দোলনা- ফুলের বাগান দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদন পার্ক, করিডোর গুলোতে স্থান পেয়েছে জ্ঞানী-গুণীদের ছবি ও মহাত্মাদের বাণী।
বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শফিউল আজম জানান, সদিচ্ছা থাকলেই সরকারি নিয়মিত বরাদ্দেও অনেক কাজ করা যায়। তিনি তাই করেছেন শুধু।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা আনন্দদায়ক বিদ্যালয় আঙ্গিনা গড়ে তোলার চেষ্টায় করেছেন তারা।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শহীদউল্লাহ জানান, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদিচ্ছায় বিদ্যালয়টি শিশু বান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান মাত্র দু‘বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়টি হয়ে উঠেছে উপজেলার ৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে।