নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের ত্যাগী নেতারা। তৃণমূলের এই অভিযোগ গড়ায় কেন্দ্র পর্যন্ত।
এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিতর্ক এড়াতে কমিটি ঘোষণার ১২ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি তাঁর ফেইসবুকে লিখেন, “কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে শুক্রবার আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি নির্বাচিত করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া আমাদের কাছে অভিযোগ আছে-ওই কমিটিতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শক্রমে জেলা আওয়ামী লীগ বিতর্কিত এ কমিটি বাতিল ঘোষণা করছি।”
এর আগে গেল শুক্রবার শীলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সাংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত কাউন্সিলে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বেলাল পুনরায় সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে বিতর্ক সৃষ্টি হয় নির্বাচিত সভাপতি আসাদুজ্জমানকে ঘিরে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীলখালীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকমীর্রা জানিয়েছেন, “জেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রভাবিত হয়ে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছিল।”
খবর নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলন ও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গত ১৪ এপ্রিল ১৮৬ জন কাউন্সিলের তালিকা অনুমোদন করে জেলা আওয়ামী লীগ। উক্ত তালিকায় আসাদুজ্জামান চৌধুরীর নাম থাকলেও তা কেটে দেন নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু সম্মেলনের দিন বক্তব্যকালে স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে ত্যাগী নেতা বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “আসাদুজ্জামান পাঁচ বছর আগে সদস্য পদ নেয়। পাঁচ বছর তো শেষ, এখন সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আপত্তি নেই।”
পরবতীর্তে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান যারা যারা কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করতে চান তাদের হাত তুলতে বলেন। এসময় সভাপতি প্রার্থীদের কাতারে দাঁড়ান আসাদুজ্জামান চৌধুরীও। পরবতীর্তে কাউন্সিলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সম্মেলনের তিন আগে থেকে কাউন্সিলরদের জনপ্রতি ৩/৪ হাজার টাকায় বিনিময়ে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরী কাউন্সিলরদের ভোট কিনে নেন।