সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ব্রহ্মময়ী কালিবাড়ি প্রাঙ্গনে উত্তরায়ণ সংক্রান্তি উপলক্ষে ধর্মসভার মধ্যে দিয়ে শুরু হল ২৭তম ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি)রাতে ব্রহ্মময়ী কালিবাড়ি প্রাঙ্গণে ধর্মসভাও মহোৎসবের সূচনা হয়।
বাজালিয়া উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য স্বপন কুমার বিশ্বাসের সঞ্চালনায় ও সভাপতি স্নেহাংশু চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রনজিৎ কুমার দত্ত।
অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচক হিসেবে ছিলেন ঋষিতীর্থ শ্রীগুরুধামের অধ্যক্ষ যোগাচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিষানন্দ পুরী মহারাজ। আলোচনায় তিনি বলেন, “মানুষ হতে হলে প্রতিহিংসা পরিত্যাগ করতে হবে, জাতিগত, বর্নগত পরিচয় ত্যাগ করতে পারলেই আসল মানুষ হওয়া যায়।দারিদ্র মানুষেরদের সাহায্য সহযোগিতায় সর্বদাই নিজেদের নিয়োজিত রাখতে হবে।”
উক্ত অনুষ্ঠানর প্রধান অতিথি ছিলেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, “অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সবাই সুখে থাকলে আমি সুখি হবো, প্রত্যেকের শপথ হোক মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবার।” মাতৃমন্ডলীর প্রতি তিনি আহ্বান করেন- প্রত্যেকে যেন তাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে।
নারীদের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, “নারী জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অপরিসীম,তার হাত ধরে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত আছে।বাঙ্গালী জাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের জায়গায় নিয়ে গেছেন শেখ মুজিবুর রহমান।”
এই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তী।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট রামপদ কায়স্থগীর,বাজালিয়া ব্রহ্মময়ী কালিবাড়ি পরিচলনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ,কালি পদ সেন, শেরে বাংলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সজল দাশ, উৎসব উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীর চৌধুরী , সাধারন সম্পাদক অঞ্জন রুদ্র সহ অনেকে।
আলোচনা সভায় আগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, এখানে স্থানীয় ও চট্রগ্রাম বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশনা করেন।পরে মহাপ্রসাদ বিতরন করা হয়।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) ও সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মহানামযজ্ঞ ও ভোগারতিসহ রয়েছে নানা আয়োজন।