আব্দুর রশিদ মানিক :
তিনি এলেন, সেই প্রিয় প্রাঙ্গণে। এলেন তাদের দেখতে,যাদের ভালেবাসতেন। সেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের কাছে…
আঁধার সরিয়ে আলো জ্বালানোর মানুষটি কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন।
কোনো এক অরুণ প্রাতে অরুণের উদয় করতে অরুনোদয় নামের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে গড়া প্রতিষ্টানে, শনিবার দুপুরে স্ত্রী আর দু কন্যা কে সাথে নিয়ে নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলা সেই প্রাঙ্গনে হয়ত নিজেকেই খুঁজে ফিরছিলেন।
তিনি এখন আর জেলা প্রশাসক নেই। দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে। তবুও কোনো এক অপার আকর্ষনে তিনদিনের কক্সবাজার সফর শেষে ঢাকা ফেরার সময় এখানেই কিছু সময়ের উষ্ণ আলিঙ্গন, ফুল হাতে স্নেহের স্পর্শ।
….
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যে গড়ে তোলা অরুনোদয় কক্সবাজারের প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান যার দ্যূতি ছড়িয়েছে সারাদেশে। আর এর রুপকার ছিলেন কামাল হোসেন। এ সব অটিস্টিক শিশুদের মুখে এক ঝলক হাসি দেখে বুকভরা তৃপ্তি নিতে এসেছিলেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজারে দায়িত্ব পালনকানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্যে কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্তব্য পালনের চেষ্টা করেছি। এখন মনটা ভরে যায় কন দেখি শিশুগুলো ভালো আছে।
প্রতিষ্ঠাতা যখন প্রতিষ্ঠানে তখন সকলেই কৃতজ্ঞতার বাগানে ফুটে শ্রদ্ধার ফুল। এসব শিশুরাও কি বুঝে ভালোবাসা?
মাথার উপর থেকে ছাদ সরানো যায় আকাশ কি সরানো যায়? যায় না, তাইতো ভবিষ্যতেও এইসব কর্মপ্রয়াসের সাথে তিনি যুক্ত থাকার উচ্চারণ তার কন্ঠে। কক্সবাজারের প্রতি টান আছে বলেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বরাদ্দের ক্ষেত্রেও কক্সবাজারকে অগ্রাধিকার দেন বলে জানালেন কামাল হোসেন।