টিটিএন ডেস্ক:
রাজধানী ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের সহযোগীরা। জঙ্গিরা জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলা এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড়সংলগ্ন ঢাকার সিএমএম আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া দুই আসামি হলেন মইনুল হাসান শামীম (২৪) ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (৩৪)। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এসি (প্রসিকিউশন) ফরিদুর রহমান।
এদিকে, আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া এই দুই জঙ্গি সদস্যকে ধরিয়ে দিতে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। রবিবার বিকেলে, পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়াও এ ঘটনায় রাজধানীজুড়ে রেড এলার্ট ঘোষণার পাশাপাশি সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ দুই আসামিসহ ১৪ জঙ্গিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অন্য একটি মামলায় হাজির করা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি শেষে তাঁদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে আদালতের সিঁড়ি থেকে পালিয়ে যান তাঁরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।
পুলিশ বলছে , পালিয়ে যাওয়া ওই দুই আসামি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। রোববার দুপুর ১২টার দিকে মামলার হাজিরা দেওয়ার পর সিঁড়ি দিয়ে নামানোর সময় নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের মুখে বিশেষ ধরনের স্প্রে ছুড়ে তাঁদের নিয়ে পালিয়ে যান সহযোগীরা। বাইরে অপেক্ষা করা দুটি মোটরসাইকেলে করে তাঁরা চলে যান।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ফয়সাল আরেফিন দীপন।
এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ে আসামিদের সবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। তাঁরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
ঘটনাস্থলে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগের সদস্যরা হাজির হয়েছেন। সোয়াত টিমের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।