নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের প্রজাপতির দ্বীপখ্যাত সোনাদিয়ায় পর্যটকদের রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। হঠাৎ মৌসুমের শুরুতে পর্যটক সীমিতকরণের কারণে বড় লোকসানের মুখে পড়ছে দ্বীপের বাসিন্দারা।
জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে রাত্রীযাপনে নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। তাদের দাবি, নিরাপত্তাজনিত কারণে এটি বন্ধ করা হয়েছে। যদিও স্থানীয়রা বলছেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে এ দ্বীপে। পাশাপাশি পর্যটকদের যাতায়তের কারণে কমে গেছে অপরাধ কর্মকান্ড। পাশাপাশি প্রশাসনের সহযোগীতায় পর্যটকদের রাত্রীযাপন ও পূর্বের মতো চলাচল স্বাভাবিক করার দাবী জানান দ্বীপবাসী।
সোনাদিয়া পশ্চিমপাড়া সিসিএ বহুমূখি সমবায় সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকার ও বেজার একটি বৃহৎ প্রকল্প এখানে রয়েছে। যা আমরা শুরু থেকে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর যে উন্নয়ন কর্মকান্ড তা সব সময় সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় দ্বীপবাসী। তারা বলেন, দ্বীপবাসীরও সন্তান, পরিবার রয়েছে। তাদেরও বাঁচতে হবে। পর্যটক সীমিত করলে অনেক হতদরিদ্র পরিবার নি:স্ব হবে।
সোনাদিয়া ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর বলেন-সোনাদিয়ার ৫০% মানুষ পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। এক সময়ের অপরাধ প্রবণ এলাকা এখন সরকারের সহযোগীতায় অপরাধমুক্ত। এখন সোনাদিয়া নিরাপদ। পর্যটকের রাত্রীযাপন সুবিধা বন্ধ করে দিলে দেড় শতাধিক পরিবার না খেয়ে মরবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কমিউনিটি বেইজডের সদস্য ইমরুল হাসান রাকিব বলেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত সোনাদিয়ায় কোন পর্যটক যেতো না। কিন্তু আমরা পর্যটকদের কাছে আগ্রহি করে তুলেছি। নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ে দ্বীপের বাসিন্দারা ভূমিকা রাখছে। হঠাৎ করে পর্যটক সীমিতকরণ আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে হুমকিতে ফেলবে। দেশে পর্যটকদের সেবা করার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সোনাদিয়া দ্বীপের মানুষ তাই করছে।
স্যান্ডি বীচ ট্রাভেলস সার্ভিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, সাপ্তাহে অন্তত দুই শতাধিক পর্যটক আগমন করে। তাদের সেবায় দ্বীপবাসী ও আমাদের কর্মীরা কাজ করে। হঠাৎ করে পর্যটক সীমিতকরণের কারণে তারা বেকার হয়ে পড়বে। এ জন্য জেলা প্রশাসক, ইউএনও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।