হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে গরু চোরাচালানরোধে কেটল শুমারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা ও আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেছেন, বালুর পরিবর্তে পাহাড়ের লাল মাটি দিয়ে রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা যাবে না। এছাড়া উপজেলার সব খাল-ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা অবৈধ। যতক্ষণ না মহাল হিসেবে সরকার থেকে অনুমোদন না নেয়া হয় । সুতারাং এ অবৈধ কাজ করা যাবে না।
তিনি বলেন, সড়ক নির্মানে সরকার বালু সংগ্রহ থেকে সব কিছু হিসেব করে প্রাক্কলন তৈরী করে থাকেন । এক পর্যায়ে তিনি পিআইও এবং এলজিইডি প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে দেখবাল করার নির্দেশ প্রদান করেন। বাল্য বিয়ের বিষয় সহ শিক্ষা, সীমান্ত পরিস্থিতি, উপজেলার সব গৃহপালিত গরুর তালিকা করণের উপরও নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ বলেন, অপার সম্ভবনাময় উপজেলা আমাদের এ নাইক্ষ্যংছড়ি। এখানে পর্যটন শিল্প প্রসারের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করছে।
বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়াই মার্মা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, থানা’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) টানটু সাহা, মন্ত্রীর প্রতিনিধি খাইরুল বশর, দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান,দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ,বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যানিং মার্মা। সভা সমূহে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব প্রতিনিধি ও কমিটির অপরাপর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।