আফিফা উলফা:
“তোমরা ভুলে গেছো মল্লিকাদের নাম, সে এখন ঘোমটা পরা দুরের কোনো গাঁয়…, কন্ঠে এমন গান ধরেই কৈশোরে হারিয়ে গিয়েছিলেন বুলবুল এ জান্নাত। তিনি এখন শিক্ষকতা করেন। বয়র ৫৫’র কোটায়,এসেছিলেন শহরের প্রথম নারী শিক্ষার পীঠস্থান কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভায়। তিনি বলেন, মানুষের জিবনে কিছু মুহুর্ত থাকে তা কখনো ভুলা যায় না, আমাদের স্কুল জিবনের এই স্মৃতি কখনও ভুলবার নয়, আর বান্ধবীদের সাথে দেখা হবে, আহা আবার গলা ছেড়ে গাইবো ‘পুরানো সেই দিনের কথা,বলবো কি রে’….।
২৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। প্রতিষ্ঠার ৬১ বছর পর প্রথম এই মিলনমেলার আয়োজন তাই উচ্ছাস আর আগ্রহের যেনো শেষ নেই। প্রতিদিন চলছে সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির কাজ।
জানা গেছে ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮ থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে থাকবে র্যালী, প্রতিকী এসেম্বলি,শপথ বাক্য পাঠ,আগত অতিথিদের সংবর্ধনা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মাননা, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ,সংগীতানুষ্ঠান, র্যাফল ড্র, প্রীতিভোজ। “নারীর আলোকবর্তিকায়ন কসবাউবিয়ান রিইউনিয়ন”এ প্রতিপাদ্য অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দিনব্যাপী প্রথমবারের মতো এই পুনর্মিলনীতে এ পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন করেছে সাড়ে ৮ শ জন সাবেক শিক্ষার্থী,সব মিলিয়ে ১ হাজারের বেশী উপস্থিতি কে সামনে রেখে প্রস্তুতির কথা জানান কসবাউবিয়ান পুনর্মিলনী উৎসবের আহবায়ক তানিয়া কাসেম। তিনি জানান, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানে। তানিয়া কাসেম বলেন, এটি প্রথমবার আয়োজন করা হচ্ছে, তবে শেষবার নয়। বারবার যেনো এমন আয়োজন অব্যাহত থাকে সে চেষ্টা করা হবে। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার টিটিএন।