প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হয়েছে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়টি তার গতিপথ পরিবর্তন করে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এগিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১১ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র সাগরে আছে, তবে অগ্রভাগ উপকূলে উঠে গেছে। ভারতের অন্ধপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে। আপাতত বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় অশনির আওতামুক্ত। তবে এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝাড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।