নিজস্ব প্রতিবেদক:
তুমব্রু সীমান্তের শূণ্যরেখায় পুড়ে যাওয়া ক্যাম্পের ৩৫ পরিবারের ১৮০ রোহিঙ্গাকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে যারা যে যে ক্যাম্পে নিবন্ধিত তাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে এবং অনিবন্ধিত তাদের প্রথমে নিবন্ধন করবেন এরপর ক্যাম্পে পাঠানো হবে।
গেলো ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও এর আশপাশে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় তারা।
ঘটনাটির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল টাস্কফোর্স শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন- পুলিশ প্রশাসন, এপিবিএন, ডিজিএফআই, এনএসআই, বিজিবির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই ও স্থানান্তর করার জন্য।
ওই কমিটি ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই করে ২ হাজার ৯৭০ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। যাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত। যাদের আজ রোববার থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির কোনারপাড়ার মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় হামিদ উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা নিহত এবং দুজন আহত হয়েছিলেন। এতে আগুনে পুড়ে যায় শূন্যরেখার ক্যাম্পও।