মুরাদ মাহমুদ চৌধুরী:
সতেজ সকালের সূর্য কিরণ অধিকারে নিয়েছে সমুদ্র বালুচর। আর সেখানে তেজোদীপ্ত কিছু তাগড়া জওয়ান প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেওয়ার। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতরে যাবেন সমুদ্দুরের ওপার সেন্টমার্টিনে।
৩১ অধম্য সাঁতারু সকাল ৯ঃ০৫ মিনিটে শুরু করে সাঁতার। যেখানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী রেজিনা পারভিন ইতি যিনি ৩১ সাঁতারুর মধ্যে এক মাত্র নারী।
তিনি জানান, “প্রথম সাগর পাড়ি দেয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এইখানে ভয় আছে, আছে ভয়মুক্তির সাহস ও।
অন্যদিকে আয়রনম্যান খ্যাত মোঃ শামসুজ্জামান আরফাত এনিয়ে ৯বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, “প্রত্যেকবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার অনুভূতি ভিন্নরকম যা বলে বুঝানো যাবে না।”
২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রয়াত কাজী হামিদুল হক শুরু করেন এই বাংলা চ্যানেল সাঁতার। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পর্কে বিশ্বকে জানান দিতে এই আয়োজন বলে জানান বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লিপটন সরকার।
ষড়জ এডভ্যাঞ্চার ও এক্সট্রেম বাংলার ১৭তম এই আসরে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিচ্ছে বগুড়ার ১৫বছর বয়সী কিশোর রাব্বী।
সাঁতারু মনিরুজ্জামান জানান, “সর্বনিম্ন ৩ ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা সাঁতার ভেদে সময় লাগবে।
শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র সৈকতের পশ্চিমের পাড় থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটারের এই বাংলা চ্যানেল সাঁতার সম্পন্ন হবে।