প্রতিনিধি, ঈদগাঁও:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরের শীর্ষ ডাকাত বদিউল আলম প্রকাশ বদি ডাকাতকে আবারে আটক করেছে ঈদগাঁও থানা পুলিশ। শুক্রবার (৬ মে) তাকে গ্রেফতার করা হয়। বদিউল আলম প্রকাশ বদি ডাকাত ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিত খালি এলাকার মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, বদি ডাকাত ইসলামপুরে ত্রাস। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ১২ টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবসা, ছিনতাই, ধর্ষণ, অপহরণ, বনদস্যুতা, হত্যা মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, পূর্ব নাপিতখালীর জসিম উদ্দীন নামের এক দরিদ্র রিক্সা চালকের গৃহপালিত ছাগল ধরে নিয়ে জবাই করে ভোজনবিলাস করে। পরে ছাগল উদ্ধারের বিষয়ে বদি ডাকাতের বাড়িতে গেলে জসিমকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। প্রাণে রক্ষা পেয়ে জসিম উদ্দীন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঈদগাঁও থানার আশ্রয় নেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল হালিমের নির্দেশে এ,এস,আই ইব্রাহিম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাড়ির আশপাশে রূদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরী একটি লম্বা দা, চোরাইকৃত ছাগলের মাংস উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি মোঃ আবদুল হালিম জানান,′′গ্রেফতারকৃত আসামী বদি ডাকাতকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ।গ্রেফতার এড়াতে বারবার আত্মগোপনে চলে যেত। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ওসি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ১২ টি মামলা রয়েছে, তৎমধ্যে ৪টি যথাক্রমে ৪৩(৬)১৬,৩৮(৬)১৪,৩৭(৬)১৪,২৫(১১)২০ ইং মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি ছিল। ৪৩(৬)১৬ সালের মামলাটি হত্যা মামলা বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে পূর্বেকার ওয়ারেন্ট মামলা মূলে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ওসি।
এদিকে তার গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এলাকাবাসী জানায়, ডাকাত বদি আলম এক সময়ের শীর্ষ ডাকাত, তার নামে এক ডজন মামলা রয়েছে। এলাকা ভিত্তিক একটি কিশোর গ্যাং গড়ে তুুুুলে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি, অপহরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জমি দখল, চাঁদাবাজি করে আসছিল। নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি তৈরি করতে চাইলে চাঁদাদাবী করত বদি ডাকাত।
তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে রয়েছে তার ভাগিনা স্থানীয় বাদশা মিয়ার ছেলে মুজাহিদ নামের এক যুবক। তার ইশারায় সেখানে একটি কিশোর গ্যাং নানান অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম বলেন, এলাকায় কোনো কিশোর গ্যাং অপরাধী থাকতে পারবে না, সে যতই বড় সন্ত্রাসী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।