মোঃ শাহীন, টেকনাফ:
আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ বা ধাত্রী দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো টেকনাফেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ মিডওয়াইফির এক দশক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটির পালিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল-এর সভাপতিত্বে মিডওয়াইফ দিবসে উপলক্ষ্যে প্রসব সেবা কক্ষ থেকে হাসপাতাল চত্বর র্যালী’শুরু করে বঙ্গবন্ধু কর্ণারে প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালান করা হয়। পরে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে হল রুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
সভায় বক্তৃতা রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর. এম ও ডাঃ এনামুল হক ও মেডিকেল অফিসার ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ডাঃ প্রনয় রুদ্র প্রমুখ। এতে কর্মস্থলে কাজের অভিমত তুলে ধরেন মিডইয়াইফের সুপার ভাইজার পপি রাণী, তামান্না জাহান (তুলী), মাহবুবারা বেলী সিকদার। এছাড়া মিডওয়াইফ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনা করেন, সেবিকা রোজিনা আখতার।
অনুষ্টানে মিডওয়াইফরা বলেন, একজন মিডওয়াইফ বা ধাত্রী গর্ভাবস্থায়, প্রসব বেদনা এবং প্রসবের প্রারম্ভিক অবস্থায় নারী এবং শিশুদের পরামর্শ, যত্ন এবং সহায়তা দিয়ে থাকেন। তারা গর্ভাবস্থার সময়ে নারীদের তাদের তত্ত্বাবধানে রেখে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেন এবং স্বাস্থ্য ও শিশুর পরিচর্যা বিষয়ক উপদেশ দিয়ে থাকেন।
অনুষ্টানে ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফদের মাধ্যমে এ লক্ষ্য আমরা অর্জনের পথে। সেভাবে আমরা জনগনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে গ্রামের দায়মাদের কারনে কিছু জটিলতাও সৃষ্টি হয়। তবে আমাদের চেষ্টা থাকছে গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্যারসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন,জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ধাত্রীরা সন্তান প্রসবে মায়েদের যেভাবে যুগ-যুগ ধরে সেবা দিয়ে আসছেন সেই কাজের স্বীকৃতির জন্য ১৯৮০’র দশক থেকে তারা দাবি করে আসছেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯২ সালের ৫ মে তারিখটি আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এরপর কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্টান শেষ হয়।