নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফের আলোচিত আলো হত্যার রায় দেয়ার দিন ধার্য্য করা হয়েছে বুধবার। দীর্ঘ ১১ বছর পর টেকনাফের এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার বুধবার রায় দেয়ার দিন ধার্য্য করেছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ আবদুল্লাহর ছেলে আলী উল্লাহ আলোকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে খুনিরা। আব্দুল্লাহর নিজ বাড়ীর কাচারী ঘরে আলোকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করেছিল।
ঘটনার ১১ বছর পর বুধবার এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আদালত দিন নির্ধারণ করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ১১ মে দিনটি ধার্য করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
সেই অজুহাতে তারা পার পাওয়ার চেষ্টা করে। মামলায় মোট ৮ জন আসামির কী ধরনের শাস্তি হচ্ছে, তা নিয়ে টেকনাফসহ জেলাবাসীর মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল লক্ষ্য করা গেছে।
আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী বলেন, ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছিল। এজাহারে চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি আছে মর্মে উল্লেখ ছিল। পুলিশি তদন্তে এজাহার বহির্ভূত একজনকে ফরওয়ার্ড করা হয়। বাদি পুলিশি তদন্তের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়। পরবর্তীতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডির উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে দুইজন অন্তর্ভুক্ত করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। সিআইডির তদন্তে আসা দুই জন আসামি হলো মুহিবুল্লাহ এবং দিদার।
বিজ্ঞ আদালত সকল আসামির বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৩০২/৩৪/১০৯/১১৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ১১মে রায়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অলিউল্লাহ আলোর বাবা মোঃ আব্দুল্লাহ ২০১১ সালের ৯সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তকালে ৩ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার আসামিরা হলো- ইসহাক কালু, কুমিল্লার ইয়াকুব, নওগাঁর সুমন, ঠাকুরগাঁওর ইয়াছিন, নজরুল ও মায়ানমারের সৈয়দুল আমিন প্রকাশ লাম্বাইয়া।
এদিকে শিশু আলোর হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে এমনটাই আশাবাদ পরিবারের।