রবিবার, এপ্রিল ২, ২০২৩

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সবার আগে

টিটিএনে সংবাদ প্রচারের পর বর্জ্যমুক্ত হচ্ছে কুতুপালংয়ের শত একর জমি

বিশেষ প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া কুতুপালং গ্রামে ধানচাষের উপযোগী প্রায় একশ একরেরও বেশি জমি নষ্ট হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবসৃষ্ট বর্জ্যে, ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংকটে প্রায় পাঁচ বছর চাষাবাদ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এই গ্রামের শতাধিক কৃষক।

গত ১৩ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় টিটিএনে।

প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে অবশেষে দীর্ঘদিন পর হলেও জন দাবির মুখে বর্জ্য অপসারণে উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শনে যান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াতের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসন ও ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল।

১নং ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতারের বেষ্টনী দেওয়া সীমানা সংলগ্ন বাংলাদেশী স্থানীয় জনগোষ্ঠী বসবাসরত কুতুপালং পশ্চিম পাড়া গ্রামের বর্জ্যে পরিপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি পরিদর্শন করেন তারা।

এসময় প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে বর্জ্য পরিস্কারের কাজ শুরু হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ৫০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রাথমিক এই কার্যক্রমে অংশ নেন।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত টিটিএনকে বলেন, ক্যাম্পে কর্মরত আন্তর্জাতিক এজেন্সি, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আমরা শর্ট মিডল এবং লং টার্ম এই তিনটি পর্যায়ে বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি।”

নষ্ট হওয়া জমি যেনো পুনরায় স্থানীয় চাষীরা চাষাবাদ যোগ্য করে ব্যবহার করতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ” দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই বর্জ্য অপসারণের দাবী করে আসছিলাম, আজ সেটি আলোর মুখ দেখলো। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেন ড্রেজিং করে আরসিসি ড্রেন নির্মান করলেই কৃষকদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

এদিকে দীর্ঘদিন পর বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় খুশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাও।

জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষক আলী আহমেদ জানান, ” বর্জ্যের কারণে গত পাঁচ বছর ধরে আমরা কোন ধরনের চাষাবাদ করতে পারিনি, দেরিতে হলেও আজ থেকে জমি পরিস্কার শুরু হওয়াতে আমরা খুশি।”

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে পাশ্ববর্তী দেশ মায়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নতুন করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় উখিয়া-টেকনাফে। সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাস করছে ৩৪ টি ক্যাম্পে।

সর্বশেষ খবর

কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৩ সদস্য কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ

আয়াছুল আলম সিফাত : কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১ এপ্রিল) ভোরে কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং...

টেকনাফে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ শাহীন,টেকনাফ : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে টেকনাফ পৌরসভায় মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার মৎস্যজীবী সমিতি হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের পরিদর্শক...

সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজার’র আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল মিশুকের হল রুমে সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সভাপতি এম.এ আজিজ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ এক শিশু

  শামীমুল ইসলাম ফয়সাল, উখিয়া: উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন, এ ঘটনায় ১২ বছরের এক শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা ক্যাম্প-৮...