রামু প্রতিনিধি:
গতকাল বৃহস্পতিবার “হাত-পা বেঁধে রেখে এক বৃদ্ধার ঘর ভেঙে জমি দখলের চেষ্টা” শিরোনামে টেরিটোরিয়্যাল নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকার জনসাধারণের জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর রামু থানা পুলিশ খুনের উদ্যোগ, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চুরিসহ কয়েকটি ধারায় আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা নিয়েছে।
দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটে থানায় গিয়ে মোট আটজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী রশিদা খাতুনের মেয়ে নুর বাহার বেগম(৫০)।
এদিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল শুক্রবার বৃদ্ধা রশিদা খাতুন(৮৫) সহ তার দুই মেয়েকে মো. ইউনুচ ও আবুল মনছুর প্রকাশ লেবু দুই ভাই মিলে আরও ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে গত শুক্রবার বিকেল থেকে সারা রাত বৃদ্ধা রশিদা খাতুন ও তাঁর মেয়ে দিলদার বেগমের চোখ, মুখ ও হাত বেঁধে খেতের জমিতে ফেলে রাখে। শুক্রবার বিকেলে এই দুই ভাই ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মিলে ঘর ভেঙে ফেলে জমি দখলে নেয়। পরেরদিন সকালে স্থানীয়রা হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটে মামলা দায়েরের পর রশিদা খাতুনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি দি টেরিটোরিয়্যাল নিউজকে বলেন, “আমার সংসারে কোন পুরুষ সদস্য নাই বলে আজ আমাকে এভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে। ঘটনার দিন রাতে আমাদের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে রাখায় এখনো সারাশরীরে ব্যাথা। আমার ছোট একটি কুঁড়েঘর ভেঙে যাওয়ায় নিঃস হয়ে গেলাম। মাদ্রাসা পড়ুয়া আমার দুই নাতনীর জন্য চিন্তা হচ্ছে। তারা খোলা আকাশের নিচে এখনো। আমি ঘর ফেরত চাই।”
রামুতে ঘটে যাওয়া এই অমানবিক ঘটনায় মামলা হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে এলাকার সচেতন মহল। দ্রুত সময়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বৃদ্ধা রশিদা খাতুনের ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করবেন এমনটা প্রত্যাশা তার।