আয়াছুল আলম সিফাত :
জেলিফিশের আহরণ এবং প্রক্রিয়া করণের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগি করে রপ্তানি করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিকতর গবেষণার মাধ্যমে জেলিফিশ আহরণ ও রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান তাদের।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব জেলিফিশ দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। সেমিনারে জেলিফিশের উপর করা গবেষণা প্রবন্ধে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার।
জেলিফিশ সমুদ্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ যা এখনো অবহেলা এবং গবেষণার বাইরে থেকে গেছে। অথচ চীন, জাপান, কুরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই জেলিফিশের খাবার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। শুধু খাবার নয়, ওষুধ তৈরী, সাগরের বাস্তুসংস্থান রক্ষাসহ নানা কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জেলিফিশ। এর উৎপাদনও হয় সবচেয়ে বেশি।
এসব তথ্য উপস্থাপন করে সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার জেলিফিশ আহরণের দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমুদ্র বিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রাশেদুন্নবী। এছাড়াও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা বক্তব্য রাখেন।