শাহিদ মোস্তফা শাহিদ:
চুরি হয়ে যাওয়া ছাগলের সন্ধান করতে গিয়ে এক সময় সনাক্ত করতে পারেন চোরকে। প্রমাণসহ ওই চোরকে সনাক্ত করে এখন বিপাকে পড়েছেন ছাগলের মালিক। চোরের প্রাণনাশের হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মোহনভিলা এলাকায়।
জানা গেছে, মোহনভিলা এলাকার গোরা মিয়ার ৪০ হাজার টাকা দামের একটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ছাগল উদ্ধার করে তিনজন চোরকে চিহ্নিত করা হয়। তারা হলেন- নুরুল আমিনের ছেলে ফাহাদ, মৃত নুর আহমেদের ছেলে মো. শফিক ও মোহাম্মদ কালুর ছেলে সাদেক।
পরে তাদের নাম উল্লেখ করে ঈদগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাগলের মালিক গোরামিয়া। ওই অভিযোগ দায়েরের পর থেকে চুরিতে অভিযুক্ত ফাহাদের বাবা নুরুল আমিন ছাগলের মালিককে ছুরিকাঘাত করে খুন করার হুমকি দিচ্ছেন। তার হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গোরামিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে তার বসত বাড়ি সংলগ্ন গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায়। প্রায় ১৮ দিন পর খরুলিয়া বাজারে জনৈক জিয়াবুল হক নামের এক ব্যক্তির নিকট ছাগলটি দেখতে পেয়ে পায়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন তাকে ছাগলটি ফাহাদ ও সাদেক নামে দুই ব্যক্তি বিক্রি করেছেন। প্রমাণ স্বরূপ ক্রেতা জিয়াবুল হক টাকা লেনদেন ও দুইজনের ছবি তুলে রাখেন।
জিয়াবুল হকের কাছ থেকে আসল ঘটনা জানতে পেরে তার প্রদেয় ক্রয়ের টাকা পরিশোধ করে সখের ছাগলটি নিয়ে আসে গোরা মিয়া। পরে গোরা মিয়া ঘটনাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করলে চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ফাহাদের বাবা নুরুল আমিন ভুক্তভোগী গুরা মিয়াকে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দেন।
ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল আমিন বলেন, ‘তার ছেলে ছাগল চুরি করছে এটি সত্য, কিন্তু স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসার কথা থাকলেও তার ছেলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় হুমকি ধমকি দিয়েছে তাই তিনি গোরামিয়াকে সতর্ক করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খুচরা মাদক দ্রব্য ব্যবসা, চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ভিত্তিক গড়ে তুলেছে গরু, ছাগল, মহিষ চুরির সিন্ডিকেট।
তারা স্থানীয়দের গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে গরু মহিষ ছাগল চুরি করে নিয়ে যায়। তাছাড়া এলাকায় মুরগী থেকে শুরু করে নলকূপ, নির্মানাধীন ঘর বাড়ির যন্ত্রপাতি, রড সিমেন্টসহ নানা জিনিসপত্র চুরি করে তারা।
স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, ছাগল চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।