নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালীর শাপলাপুরের বিট কর্মকর্তা নাহিদের সাথে চিহ্নিত বালিখেকোদের সখ্যতা, বন্ধ হচ্ছে না শাপলাপুর বিটের অধীনে ষাইটমারা জেএমঘাট মৌলভীকাটাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন।
জানাযায়, মহেশখালী রেঞ্জের বিতর্কিত বিট অফিসার নাহিদ মাতারবাড়ি থেকে বদলি হয়ে শাপলাপুরে বিটে আসার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চিহ্নিত বালিখেকোরা। ষাইটমারার সোহেল ও মৌলভীকাটা এলাকার নুরুল কবিরের পুত্র নোবেল দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি বনবিভাগের জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিট অফিসার নাহিদ।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করেন। অপর অভিযুক্ত নোবেলের সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোন কল করেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, শাপলাপুরের বিট অফিসার নাহিদকে সরকারি জায়গা থেকে বালি উত্তোলনের তথ্য জানালে তিনি উল্টো তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় বালিখেকোদের জানিয়ে দেন। এতে অনিরাপত্তায় ভোগেন তথ্যদাতা। এমনকি তিনি অভিযোগ করে বলেন, চিহ্নিত বালিখেকোদের সাথে নাহিদের ঘনিষ্ঠ সখ্যতা রয়েছে বলেও জানান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিট অফিসার নাহিদ শাপলাপুর বিটের চালিয়াতলীর, ষাইটমারা, জেএমঘাট, মৌলভীকাটা, মুখবেকী এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বালি উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। ষাইটমারা ও জেএমঘাটে বালি উত্তোলন মুহূর্তে ডাম্পার আটক করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এই বিট অফিসার।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাম্পার চালক ও বালি ব্যবসায়ী জানান, বালি বিক্রির সব টাকা তারা পায় না, বিট অফিসাকে বড় একটি অংশ দিতে হয়। শাপলাপুর বিটের এক ফরেস্ট স্টাফ জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের দায়ে গাড়ি আটক করলে বিট অফিসার তাদের ফোন করে উল্টো বকাবকি করেন। বিট অফিসারের নির্দেশ ছাড়া তারা গাড়ি আটক করতে পারেন না। তিনি অসহায়ত্ব স্বরে বলেন, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিট অফিসার ব্যবস্থা না নিলে তাদের আসলে কিছু করার থাকে না।
জানা যায়, শাপলাপুর বিটের এই কর্মকর্তাকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, বৃক্ষনিধনের তথ্য দিলে তিনি চিহ্নিত বালি ব্যবসায়ীদের সে তথ্য পাচার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে-সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতে বাধ্য করেন।
এই বিষয়ে মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী মুঠোফোনে জানান, মহেশখালীর শাপলাপুর অংশে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। কারা কারা অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তৎপরতা চলমান। চিহ্নিত বালিখেকোদের সাথে তার অফিসের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা থাকলে তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে বিট কর্মকর্তার নাহিদের প্ররোচনায় বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বালিখেকোদের অপপ্রচারকরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তথ্য প্রদানকারী পরিবেশবাদী ভুক্তভোগীরা।