নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিজ কোম্পানীতে শেয়ার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান এবং ০৯ টি মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও অর্থদন্ডে দন্ডিত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোহাম্মদ আব্দুল হককে আটক করেছে র্যাব-৭।
২২ মে (রবিবার) চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালানা করে প্রতারক মোহাম্মদ আব্দুল হককে আটক করা হয়।
তার বাড়ী চট্টগ্রাম হালিশহর আই ব্লক এলাকায় । এসময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম ও অন্যান্য কার্ড, বিদেশী ডানহিল সিগারেট, চেক বই, আইপ্যাড ট্যাব, বিভিন্ন ব্রান্ডের হাতঘড়ি, আইফোন এবং এ্যান্ড্রয়েড মোবাইলসহ অন্যন্যা আলামত উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়,অভিযুক্ত প্রতারক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের নাম ভাঙ্গিয়ে তার কোম্পানীতে চাকুরী এবং শেয়ার দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করত এবং পরবর্তীতে তাদেরকে কোম্পানীর শেয়ারের টাকার লভ্যংশ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক প্রদান করত। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে দেখা যেত তার দেয়া চেকের বিপরীতে একাউন্টে কোন টাকা নেই। এভাবে সে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসত। তাকে যেন ভুক্তভোগীরা সহজে খুজে না পায় সেজন্য সে তার নিজ জেলার স্থায়ী ঠিকানায় অবস্থান না করে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং বন্ধুদের বাসায় অবস্থান করত।
র্যাব আরোও জানায়,বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগর এবং ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল এলাকায় অবস্থান করে মোহাম্মদ আব্দুল হক নামের একজন ব্যক্তি বিভিন্ন মানুষের সাথে এরুপ প্রতারণা করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত প্রতারককে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক নজরদারী অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত প্রতারক মোহাম্মদ আব্দুল হক চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের মেইন গেইটের সামনে পাকা রাস্তার উপর অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২২ মে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালান করে সাজা পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মোহাম্মদ আব্দুল হককে আলটক করে।
আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে, উপরোক্ত ঘটনার কথা নিজ মুখে অকপটে স্বীকার করে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারনা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভুক্তভোগী কর্তৃক ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার ১৫ টি চেক জাল-জালিয়াতির মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।