সাইফুল ইসলাম সাইফ, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী নির্বাচিত ও অধিকাংশ কাউন্সিলর পথেও আওয়ামী সমর্থিত’রা জয়ী। এতে মেয়র সহ ৬ জন পুরাতন রয়েছে।
কোন প্রার্থীর অভিযোগ ছাড়া চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সমাপ্ত হয়েছে।এবং অতিথের যে কোন নির্বাচনের চেয়ে এইবারের নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ তাদের পচন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত এই ষষ্ঠধাপের পৌর নির্বাচনে বেসরকারিভাবে পৌরমেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী, বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হলেন।এবং নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।
চকরিয়ায় এই প্রথম বার পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনে ভোট দিয়েছে জনগণ।
অন্যদিকে পৌরসভায় ভোট কাস্ট হয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
বিজয়ী নৌকা প্রতীকের আলমগীর চৌধুরী ১৮টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৮৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নাগরিক কমিটির ব্যানারে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক। তিনি ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৮৬টি।
এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদা বেগম, ফোরকানা আরা বেগম ও আঞ্জুমান আরা বেগম। কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নুরুস শফি, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হানিফ ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাফর আলম কালু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফোরকানুল ইসলাম তিতু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দু সালাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল আমিন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মুজিবুল হক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেলাল উদ্দিন।
কাউন্সিলরদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন আওয়ামী সমর্থিত নির্বাচিত হয়েছে।এবং নারীদের মধ্যে একজন বিএনপি সমর্থিত রয়েছে।
এদিকে পৌর নির্বাচন দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
যেকোনো যে কোন অপতিকর ঘটনা ঠেঁকাতে প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। চকরিয়া উপজেলা পরিষদের হলরুম মহনা থেকে সন্ধা ৮টায় পৌরসভা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ইউএনও শামসুল তাবরীজ বিজয়ী প্রার্থীদের একে একে নাম,ঘোষনা করেন।এবং এতে উপজেলা নির্বাচনি কর্মকতা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ের পর নৌকার প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বলেন, এ জয় আমার নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়। এ জয়, ধারাবাহিক উন্নয়নের জয়। এ জয় পুরো চকরিয়া পৌরসভার আপামর জনগণের জয়।
তিনি আরো বলেন, প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভায় টানা পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে উন্নয়নের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন করেছি। আমি বা আমার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি পৌরসভার কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে অসদাচরণ করেনি। দলমত নির্বিশেষে সবাই উন্নয়নের সফলতা ভোগ করার পাশাপাশি শান্তিময় পরিবেশে বসবাস করতে পেরেছিল।
তাই আমাকে তথা আওয়ামী লীগের নৌকাকে পুনরায় বিপুল ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমার চেষ্টা থাকবে, উন্নয়নসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পৌরসভার সকল স্তরের মানুষের মনে স্থায়ীভাবে ঠাঁই করে নেওয়া।