তানভীর শিপু:
চকরিয়া উপজেলার চিংড়ির মহাল। যতটুকটু দৃষ্টি যায় শুধু চিংড়ির ঘের আর ঘের।
চকরিয়ার সুন্দরবনের কাকরারদিয়ার ৭০০ একর ও রামপুরের ৭০০০ একর এলাকা জুড়ে ছিলো প্যারাবন। যা নষ্ট করে গড়ে তোলা হয় এসব চিংড়ি ঘের। ২০১২ সালে এই চিংড়ি মহালের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি- বেলা।
গেলো বছরের ১৩ নভেম্বর জাতীয় চিংড়ি মহাল ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভায় বেলার দায়েরকৃত রিট মামলার বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে মামলাভুক্ত জমি চিহ্নিত করে মামলার আরজি,আদালত প্রদত্ত আদেশ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা সোমবার সকালে ওই চিংড়ি মহাল পরিদর্শনে যায়।
পরিদর্শনে আসা কমিটির সদস্যরা হলেন ভূমি মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব দেবময় দেয়ান ,পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় উপ সচিব তানিয়া ফেরদৌস , মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ে মাহমুদা বেগম, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, চিংড়ি চাষী দিদারুল ইসলাম চৌধুরী। আর প্রতিবেদন কেবল মামলাতে নয় সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়েও চকরিয়ার সুন্দরবনের সঠিক তথ্য ও চিত্র তুলে ধরতে সহায়ক হবে বলে আশা করছে স্থানীয়রা।