টিটিএন ডেস্ক :
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের কবল থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। ইতোমধ্যে তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠেছে। দ্রুত পদত্যাগ করে বিদায় নেওয়াই দলটির জন্য নিরাপদ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আওয়ামী লীগের কবল থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। ইতোমধ্যে তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠেছে। দ্রুত পদত্যাগ করে বিদায় নেওয়াই দলটির জন্য নিরাপদ। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে কোনো আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জামানত থাকবে না। তাই অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে নতুন ফন্দিফিকির করছে। কিন্তু এবার জনগণ জেগে উঠেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া কোনো ভোট হবে না।”
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার থেকেই সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন নেতাকর্মীরা। গতকালই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো টাউন হল মাঠ। বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হন নেতাকর্মীরা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “সরকার রিজার্ভ চিবিয়ে খায়নি, গিলে খেয়ে ফেলেছে। দেশ থেকে গত দশ বছরে ৮৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। গত ১০ বছর ক্ষমতায় কারা ছিল? বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। আর কতো বাড়াবেন? একটা জিনিসও নাই, যার দাম বাড়ানো হয়নি। অথচ এই সময়ে কারও বেতন বাড়েনি। ওদের টাকা বেড়েছে। ওরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। কোথাও কিছু রাখেনি।”
“ন্যায় বিচার পায় না। সবার বিরুদ্ধে মামলা। যেভাবে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। পুরো দেশকেও সেভাবেই কারান্তরীণ করে রেখেছে। আমরা বলতে চাই, নতুন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কেউ নির্বাচনে যাবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যেই আজকের এই সমাবেশ। আমি দুঃখ ভারাক্রান্তে বলছি, বিনা কারণে আমাদের ভাই, আমাদের ছেলেকে হত্যা করেছে। আজকে সমগ্র বাংলাদেশে শোকের আগুন। আজ তারা দেশের মানুষকে ভাতে মারছে, পানিতে মারছে। আজ দেশের মানুষ এই জালিম সরকারের পতন চায়।”