নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের মালিকের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনায়সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে ভাড়াটিয়া নুরুল কবির পাশা’র দায়েরকৃত মামলায় ৩জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। (যার সিআর মামলা নং- ৫৭৮/২০২১ইং।
আদালত সুত্রে জানা যায়,সোমবার এ মামলার পলাতক আসামীরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল মনসুর জামিন বাতিল করে প্রধান আসামী ঈদগাঁও উপজেলার পশ্চিম পোকখালীর মোঃ হোসেনের ছেলে এরশাদ হোসেন নুর(৩৫), ৩ নং আসামি শহরের টেকপাড়ার হাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফয়সাল(৩৫) ও মোঃ হোসেনের ছেলে সোয়েব নুরকে(২২) জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ মামলার ২ নং পলাতক আসামী ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের মালিক পশ্চিম টেকপাড়ায় বসবাসকারী আলহাজ্ব নুর আহমদের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে(৫৯) ৫শ টাকা বন্ডে বয়স বিবেচনায় জামিন দেয় আদালত।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিন দফায় ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের মালিক উক্ত মামলার আসামি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামি সহ ২০/৩০জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ৯৯ কটেজের ভাড়াটিয়া নুরুল কবির পাশাকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করতে হামলা, লুটপাট এবং ব্যাপকভাবে ভাংচুর চালায়।
সেসময় খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই বিপ্লবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে সন্ত্রাসীরা আবারও হানা দেয় কটেজটি দখলে নিতে। এসময় সন্ত্রাসীকে একের পর এক ফাঁকা গুলি বর্ষন করে কটেজটি দখলে নেয়। সেসময় কটেজে অবস্থানরত পর্যটককে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কটেজের ম্যানেজার ও কর্মচারীকেও মারধর করে।
মামলার বাদি নুরুল কবির পাশা জানান, ঘটনায় দিন হাজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে কটেজ দখল করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে আসছে। কটেজ ভাড়া বাবদ জামানতের ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার জন্য এসব ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে অভিযোগ নুরুল কবির পাশার। ঘটনার সকল সিসিটিভির ফুটেজ কাছে সংরক্ষিত রয়েছে দাবী করে পাশা জানান তাকে হত্যার পরিকল্পনাও করছে আসামীরা। তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।