আব্দুর রশিদ মানিক:
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে পূর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সমুদ্রের বুকে রানওয়ে সম্প্রসারণের ৬৫ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার বিমানবন্দর ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। একদিকে চলছে সমুদ্রের বুকে রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ, অপরদিকে চলছে আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন নির্মাণের কাজ। সমুদ্র তীরে রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যস্ত শ্রমিকরা। চারপাশে রাস্তাও নির্মাণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, প্রকল্পটিতে গুণগত মান এবং সময় দুটোই বজায় রাখা হচ্ছে।
কক্সবাজার যেহেতু পর্যটন নগরী এবং আন্তর্জাতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে গেলে পর্যটন এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার। আর আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে ২৭৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় সরকার।