বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সবার আগে

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে কি আসবে পরিবর্তন?

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন, অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। দীর্ঘ ৬ বছর ১০ মাস পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছাস বিরাজ করছে। পাশাপাশি জেলার নেতৃত্বে কে আসছে তা নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই। শুধু নেতা কর্মীরা নয় জেলার রাজনীতি সচেতন মানুষের মাঝে এ নিয়ে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা।

কদিন ধরে বর্তমান কমিটি মূল নেতৃত্ব কে নবায়ন করার কথা শোনা যাচ্ছিলো। সে রকম হলে ভারমুক্ত হবেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। স্ব-পদেই বহাল থাকবেন সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। অবশ্য এ খবর চাউর হলে পদ প্রত্যাশী অনেকরই সম্মেলন নিয়ে আগ্রহে পড়েছে ভাটা। তবে এর ভিতরে যে গুঞ্জন থাকুক না কেনো সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সংসদ সদস্য জাফর আলম কে সভাপতি পদে চাই শির্ষক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে সরব তার অনুসারীরা। তিনি বলছেন, গতবারের সম্মেলনে তিনি সভাপতি ছিলেন,এবারও সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে জানিয়ে তিনি বলেন, নেত্রী যাকে দায়িত্ব দেয় তার সাথে কাজ করবে।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আঁটসাঁট বেঁধে নেমেছেন বর্তমান জেলা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকের রণজিত দাশ। তিনি বলছেন, ১৯৮২ সাল থেকে ছাত্রলীগের কর্মী তিনি,দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। বর্তমান কমিটির এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলছেন, এবার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি তাকে দেয়া হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সম্মানিত করা হবে। রনজিত দাশ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে পালন করছেন। সেইসাথে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি আবু তালেব জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী বলে জানান দেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি এ বিষয়ে কিছু না বললেও মৌনতাই সম্মতি নীতি অবলম্বন করছেন।

সেই সাথে জেলা আওয়ামীলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মাবু আর মাছেদুল হক রাশেদের নামও শোনা যাচ্ছে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। অনেকেই আবার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাশেদুল ইসলামের নামও বলছেন সাধারন সম্পাদক হিসেবে।

গঠনতন্ত্র মতে এক ব্যক্তির এক পদ নীতি অনুসৃত হলে প্রার্থীদের মধ্যে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম এবং ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেব কে স্ব স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদে আছেন এমন কেউ যদি জেলায় প্রার্থী হয় তবে অবশ্যই বর্তমান দায়িত্বে থাকা পদ থেকে কাউন্সিলের আগেই পদত্যাগ করতে হবে। যদিওবা চকরিয়া উপজেলা সভাপতি জাফর আলম এমপি বলছেন, অনেকেই আছেন একের অধিক পদে বহাল আছেন, তবে কাউন্সিলের পরও পদত্যাগের সুযোগ আছে। জাফর আলম এও বলছেন, যদি কাউন্সিলরদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয় সেক্ষেত্রে তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন অন্যথায় দলের হাই কমান্ড যে সিদ্ধান্ত দেয় তা মেনে নেবেন। সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি কে সভাপতি প্রার্থী হিসেবেও চলছে প্রচারনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা বলছেন, নির্ভুল ও তর্ক নেই এমন কাউন্সিলর তালিকা তৈরি করা কঠিন কাজ। রবিবার রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি তালিকা। কাউন্সিলর তালিকা সোমবারের মধ্যে চুড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
অনেকেই প্রার্থী হলেও চূড়ান্ত মূহুর্তে কারা প্রার্থী হবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।আবার অনেকেই আছেন প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষনা না দিলেও ঠিকমতো সুযোগ কে কাজে লাগানোর অপেক্ষায়।

শেষতক কি ঘটতে পারে!

নানান সূত্র, নানান মেরুকরণ, অনুমান নিয়ে কথা বলা হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতাদের সাথে। তাদের কেউ কেউ বলছে, বর্তমান কমিটি পূনর্বহাল হবে। আবার কেউ কেউ বলছেন একটি পদে আসবে পরিবতন।

কারো মতে বর্তমান সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান কে সভপতি করে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি হতে পারে। আবার মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী কে সভাপতি করে সংসদ সদস্য জাফর আলম কে সাধারন সম্পাদক করে একটা মেরুকরণ অসম্ভব কিছু নয়।

অন্যদিকে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ থাকলে সংসদ সদস্য জাফর আলম সভাপতি ও মাছেদুল হক রাশেদ সাধারণ সম্পাদক এরকম প্যানেল হতে পারে।
তবে এ সম্মেলনে সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কাউন্সিলরদের মতামত বা সম্মতির ভিত্তিতে দলের হাই কমান্ডের উপর ছেড়ে দেয়া হতে পারে নেতা নির্বাচন।

সেক্ষেত্রে বর্তমান সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী,সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক,সংসদ সদস্য জাফর আলম এগিয়ে থাকবেন।

আপাতদৃষ্টিতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে বলে জানান, জেলার অনেক নেতা। তবে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী যতোটা সম্ভব তর্কমুক্ত থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদের মর্যাদা সমুন্নত রাখাট চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা সফল করেছেন তাই তাকেও সম্মানিত করা উচীত বলে অভিমত জেলার প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতাদের। তবে দলীয় হাই কমান্ড ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব,এমনই বলছেন বিশ্লেষকেরা। তার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে ।

১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেদিন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে বহুল আকাংখিত জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন,সম্মেলন শেষে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষন দেবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সর্বশেষ খবর

নিজর এক্কান জাগা অদ্দে ঘর পাইয়ি

    শিপ্ত বড়ুয়া, রামু(কক্সবাজার): কামাল হোসেন (৭০)। উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এঘর থেকে ওঘর ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে নিজের...

সদর উপজেলায় ২১৫ ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঘর হস্তান্তর

মুরাদ মাহমুদ চৌধুরী : দেশে একজনও ভূমিহীন থাকবে না। নিজের ঘরেই শান্তিতে ঘুমাবে দেশের জনগন। এমনই উদ্যেশ্যে গৃহহীনদের ঘর দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এ...

চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় স্কুল ছাত্রকে নির্যাতন: ৭ পুলিশ সদস্যকে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারে সাদা পোশাকে প্রকাশ্যে ৭ পুলিশ সদস্যের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় জাবের আহমদ জিসান নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে...

রমজানে ছুটি মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন

টিটিএন ডেস্ক: এবারও পুরো রমজান মাসজুড়েই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ছুটি থাকবে। তবে রমজানের অর্ধেকটা জুড়ে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৩ বা...