শাহেদ হোছাইন মুবিন :
প্রতিবছর ১২ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এর কারণে মারা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে মারা যাবে ১ কোটি মানুষ। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সে ( AMR) মানব সভ্যতার জন্য ১০ টি শীর্ষ স্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে একটি স্বাস্থ্য হুমকি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সকলে মিলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করি শ্লোগানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কক্সবাজারের উদ্যোগে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে ।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালী বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন সিএসপি সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ফলে সাধারণ নিরাময়যোগ্য রোগেরও চিকিৎসা অসম্ভব। রোগ ছড়িয়ে পড়ার রোগের জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ার, এমনকি সাধারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, এন্টিমাইক্রোবিয়াল সম্পর্কে মানুষকেই সচেতন হতে হবে।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সির (ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণূ) উপর বিশদ আলোচনা উপস্থাপন করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কক্সবাজারের তত্বাবধায়ক, রোমেল মল্লিক।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, ইসলামি ফাউন্ডেশন কক্সবাজারের উপ- পরিচালক ফাহমিদা আক্তার, জনস্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তা ডাঃ সেন্তামু কাদ্দু সাইমন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন,ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক এসএম সবরিনা ইয়াসমিন, কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল, মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, পল্লী চিকিৎসক, ঔষধ প্রশাসন কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, মিজানুর রহমান সহ প্রমুখ।
এর আগে এ সপ্তাহ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং তাদের পুরস্কার বিতরণ করেন।