শাহেদ হোছাইন মুবিন :
সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র,হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র, যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, রসায়ন বিজ্ঞান -২ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ষষ্ঠ দিনে এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ২০৬ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে এইচএসসিতে ১৬৭ জন, আলিমে ২৭ জন ও এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) এ ১২ জন।
বৃহস্পতিবার ( ১৭ নভেম্বর ২০২২) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ এসব তথ্য জানান ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ টিটিএনকে জানান, প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবেন। জেলার ৩৪ কেন্দ্রের ২০০ গজের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ৪টি ভিজিলেন্স টিম প্রস্তুত থাকবে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
এর আগে রবিবার ( ৬ নভেম্বর ২০২২) বাংলা প্রথম পত্র, কুরআন মজিদ, বাংলা -২ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রথম দিনে ১ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বহিস্কার হয়েছে। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় তাকে বহিস্কার করা হয়। এবং এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ২৮৭ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে এইচএসসিতে ১৯০ জন, আলিমে ৮৮ জন ও এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) এ ৯ জন। মঙ্গলবার ( ৮ নভেম্বর ২০২২) বাংলা ২য় পত্র, আরবি প্রথম পত্র (সাধারণ বিভাগ)/আরবি সাহিত্য (মুজাব্বিদ মাহির বিভাগ) পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ২২৪ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে এইচএসসিতে ১৯৩ জন, আলিমে ৩১ জন ও এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) এ (০০) জন। তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার ( ১০ নভেম্বর ২০২২) ইংরেজি ১ম পত্র, বাংলা প্রথম পত্র, ইংরেজি -২ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তৃতীয় দিনে এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ২৩৯ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে এইচএসসিতে ১৯৯ জন, আলিমে ২৯ জন ও এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) এ ১১ জন। চতুর্থ দিনে ইংরেজি ২য় পত্র, বাংলা ২য় পত্র, উচ্চতর গণিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। চতুর্থ দিনে এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ২৪০ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে এইচএসসিতে ২০১ জন, আলিমে ২৮ জন ও এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) এ ১১ জন।
এবার কক্সবাজার জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ৩৪টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার ১৯৮ জন। তার মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় ১৮টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ৬৩৪ জন, আলীম পরীক্ষায় ৮টি কেন্দ্রে ২ হাজার ২৬৩ জন এবং বিএম/ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৮টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩০১ জন পরীক্ষার্থী।
এদিকে এবারও এইচএসসিতে সব বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে গতবারের চেয়ে এবার বিষয় বেড়েছে। এইচএসসিতে একটি বিষয় (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বাদ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের উচ্চ সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ব্যাবহারিকসহ বিষয়গুলোতে পরীক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে রচনামূলকে ৩০ ও নৈর্ব্যত্তিকে থাকবে ১৫ নম্বর। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে রচনামূলক পরীক্ষায় ৪০ এবং নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় থাকবে ১৫ নম্বর। তবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে। ব্যাবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে রচনামূলকের ৪০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে এবং নৈব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত করা হবে। আর ব্যাবহারিকসহ বিষয়গুলোর রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত করা হবে। অন্যদিকে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ৫০ নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার ঘোষিত সময়সূচিতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হবে। এমসিকিউ অংশের জন্য সময় ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল অংশের জন্য সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এই দুই অংশের মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। সময়সূচিতে মোট দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চলতি এইচএসসি পরীক্ষা পুনর্বিন্যাস পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসিতে এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা না নিয়ে তা সাবজেক্ট ১১ ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে। সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও গত বছর করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয় প্রায় ৯ মাস পর নভেম্বরের মাঝামাঝি আর এইচএসসি পরীক্ষা হয় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।