নিজস্ব প্রতিবেদক:
আব্দুল আমিন মংগা নামের এক যুবকের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহন শাখা।
জানা যায়, ভুয়া কাগজ তৈরি করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলতে আবেদন করে সে। তদন্তে তার কাগজ ভুয়া প্রমানিত হলে রমজানের সময় সরকারি দপ্তরে মদ খেয়ে মাতলামি শুরু করে। উপস্থিত সেবাপ্রার্থী জনগন ও অফিসের লোকজন তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা যায়, টেকনাফের শাপলাপুর এলাকার আব্দুল আমিন মংগা নামের এক যুবক একই এলাকার জনৈক বেগম বাহার নামে এক মহিলার নিকট থেকে প্রতারনার মাধ্যমে আমমোক্তারনামা তৈরি করে। বেগম বাহার প্রতারণা বুঝতে পেরে পরে সেই আমমোক্তারনামা বাতিল করেন। এই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে মংগা আদালতে গেলে আদালত বেগম বাহারের পক্ষে রায় দেন।
আদালত কর্তৃক বাতিল ঘোষিত আমমোক্তারনামার বিপরীতে ক্ষতিপূরন প্রদান সম্ভব নয় মর্মে লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়ার পর সে একই নম্বরের ভিন্ন একটি সালের কথিত আমমোক্তারনামার অনুলিপি দাখিল করে ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবী করে।
ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন সরাসরি জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে যাচাই করে জানতে পারেন যে, আব্দুল আমিন মংগা কর্তৃক উপস্থাপিত নতুন আমমোক্তারনামার কোন অস্তিত্ব নেই।
যা জানার পর বুধবার সন্ধ্যার কিছু আগে মংগা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)-এর দপ্তরে গিয়ে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে।
কার্যালয়ে উপস্থিত সেবাপ্রার্থীরা তাকে নিবৃত্ত করতে গেলে সে আরও উত্তেজিত হয়ে পরে। তাকে নিবৃত্ত করতে যাওয়া লোকজনের নিকট থেকে জানা যায় তার মুখ থেকে মদের গন্ধ বের হচ্ছিল। মাতলামি করে অফিস থেকে বাইরে গিয়ে সে তাকে মারধর করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালানোর চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে রামু উপজেলা থেকে আসা এক কৃষকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আব্দুল আমিন মংগাকে আটকে রাখে। পরে সে টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মুক্তি পায়।
তিনি বলেন,একটি দালাল চক্র আমাকে জমিটি কিনে দিয়ে এই বিপদে ফেলেছে।
এ প্রসংগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, একটি সরকারি অফিস হিসেবে তার দপ্তর সেবাপ্রার্থীদের জন্য সর্বদা খোলা। এই সুযোগে এই প্রতারক সেখানে আনাগোনা করে। তার বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি মংগার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল আমিন মংগা জানান, উল্লেখিত দলিল ভূয়া প্রমাণিত হলে তথা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বালামে যদি লিপিবদ্ধ না থাকে তবে আমার কোনো দাবী থাকবেনা। এ ক্ষেত্রে আমার প্রতিপক্ষ প্রতারণা বা ষড়যন্ত্র করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
একটি দালাল চক্র আমাকে জমিটি কিনে দিয়ে তাকে এই বিপদে ফেলেছে বলে দাবী করেন তিনি